তামিলনাড়ুতে বিহারি অভিবাসীদের উপর হামলার অভিযোগে গত বছর গ্রেপ্তার হওয়া বিহারের ইউটিউবার মণীশ কাশ্যপ বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেন। বলেন যে, তাঁর মা তাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দলে যোগ দিতে বলেছিলেন। দিল্লির সাংসদ মনোজ তিওয়ারির উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন বিহারের এই ইউটিউবার। ‘গতকাল আমরা মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে বিহার থেকে দিল্লি এসেছিলাম। ওদের (বিজেপি মনোজ তিওয়ারি) জন্যই আমি জেল থেকে বের হতে পেরেছি। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম। আমার মা নরেন্দ্র মোদীর ভক্ত। এনএসএ আমাকে চড় মেরেছিল কিন্তু এখন আমাকে শুধু জামিনই দেওয়া হয়নি, সমস্ত অভিযোগ এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। এনএসএও প্রত্যাহার করা হয়েছে... যারা সনাতন ধর্মের বদনাম করে তাদের বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে।’
‘বিহারে বিজেপিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করব। লালুর পরিবার বিহারে লুঠ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।’, আরও বলেন এই ইউটিউবার।
বিজেপি-র প্রশংসা করে মণীশকে আরও বলতে শোনা গেল, ‘একমাত্র বিজেপিই গরীব ঘরের ছেলেকে এই সম্মান দিতে পারত। বিহারে কয়েকটি দল আছে যারা পুরো (নগদ) স্যুটকেস নিয়ে না গেলে আপনাকে যোগ দিতেও দেয় না। বিজেপি গরীব, মহিলা, ইউটিউবারদের সম্মান করে। সুতরাং, বিজেপি একটি আলাদা দল এবং সে কারণেই এটি বিশ্বের বৃহত্তম সক্ষম দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমি বরাবরের মতোই জাতীয়তাবাদের জন্য কাজ করে যাব। আগে যখন করতাম, তখন কয়েকটি দল আমাকে ফাঁসিয়ে জেলে পাঠাত। বিজেপির অনেক নেতা আমাকে সমর্থন করেছেন। আজ যদি আমি নিরাপদে জেল থেকে বেরিয়ে আসি, তবে তা আমার মায়ের আশীর্বাদ এবং বিজেপি নেতাদের সমর্থনের কারণে।’
মনোজ তিওয়ারি জানান, মণীশ কাশ্যপকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চেনেন। দিল্লির সাংসদ বলেন, বিজেপি কাশ্যপের মতো মানুষকে সম্মান করে, যাঁরা গরীবদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মণীশ কাশ্যপকে নিয়ে বিতর্ক
২০২৩ সালের মার্চ মাসে, ইউটিউবার মণীশ কাশ্যপকে তামিলনাড়ুতে কর্মরত বিহারের অভিবাসীদের উপর হামলার 'জাল ভিডিও' প্রচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তারপরে তামিলনাড়ুতে পাঠানো হয়েছিল। মাদুরাইয়ে কয়েক মাস জেলে থাকার পর মণীশ কাশ্যপকে বিহারে নিয়ে আসা হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন মণীশ কাশ্যপ।
বিহার ও তামিলনাড়ুর মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকদের এই গুজবে বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছেন। কাশ্যপের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং কয়েক সপ্তাহ পলাতক থাকার পরে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন
মণীশ কাশ্যপ তাঁর 'মণীশ কাশ্যপ সন অফ বিহার' চ্যানেলে ৮.৭৫ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার -একজন বিখ্যাত ইউটিউবার।