টলিগঞ্জে এক সময় দাঁপিয়ে কাজ করেছেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। তবে একদা বাংলা ছবির এই খ্যাতনামা ভিলেন আছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে এসেছিলেন সিনেমা জগতে। বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী এই অভিনেতাকে শেষ ১০ বছরে আর দেখা যায়নি সিনেমার পরদায়। কেন হল এমনটা! সম্প্রতি এক টক শো-য় এসে সে ব্যাপারেই কথা বলতে দেখা গেল বিপ্লবকে! এমনকী, বিপ্লবের সমালোচনার মুখে পড়লেন টলিউডের দুই খ্যাতনামা মুখ সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
‘কেন শেষ ১০ বছরে একটাও সিনেমায় তাঁর দেখা মেলেনি’, জানতে চাওয়া হলে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘পরিচালকদের হয়তো আমাকে পছন্দ হয়নি’। নতুন পরিচালক যাঁরা দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি, তাঁদের কথা উঠতেই নিজেই নাম তোলেন এই মুহূর্তের অন্যতম খ্যাতনামা পরিচলাক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। বলেন, ‘আমার সঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল রুমাদির মেয়ে। কলকাতায় এল সৃজিত একটা অন্য কাজে এসেছিল আমার কাছে… যদিও কিছুটা পর আর সেই কাজটা হয়নি। তারপর থেকে সৃজিত আর চেনে না আমাকে। আমার বাড়িতে চা, লুচি-আলু ভাজা খেয়েছে! তারপর চেনে না!’
বিপ্লব আরও জানান, ‘‘তারপর আরেকটা অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল, সৌমিত্রদা ছিল। এসে আমার পাশে বসে হাঁটু টিপতে টিপতে বলল, ‘আমার ওপর রাগ করো না’। আমি শুধু হাসলাম। কী বলব! এদের তো কিছু বলা যায় না। এরা তো বলার উর্দ্ধে! সমস্ত কথার উর্দ্ধে!’’
এরপরই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিপ্লব। বলেন, ‘‘প্রসেনজিতের একটা ছবিতে (পড়ুন ২২শে শ্রাবণ) গৌতম ঘোষ পাঠ করেছিল। আর এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেছিল, ‘গৌতম ঘোষ ছাড়া এই চরিত্রে অভিনয় আর কেউ করতে পারে না’। আর এখানেই আমার আপত্তি। গৌতম ঘোষ খুব ভালো মানুষ। খুব ভালো বন্ধু আমার। ভালো পরিচালকও। কিন্তু অভিনেতা তো নয়। তাই ওঁ ছাড়া কেউ ওটায় অভিনয় করতে পারত না, এই কথায় আমার আপত্তি আছে।’’