বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘ধাকড়’। তারপর থেকে একটু হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক এড়িয়ে চলছেন কঙ্গনা। এর মাঝেই এল খারাপ খবর। ডেঙ্গু আক্রান্ত বলিউডের ‘কুইন’। ধুম জ্বর অভিনেত্রীর, কমেছে রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ অনেকটাই কমেছে, যা যথেষ্ট চিন্তার। সোমবারই জানা যায়, ডেঙ্গুর কবলে কঙ্গনা। দুর্বল শরীর, তবু থেমে নেই অভিনেত্রী।
নির্ধারিত সময়েই ‘এর্মাজেন্সি’র সেটে হাজির অভিনেত্রী। এই ছবি তৈরি হচ্ছে কঙ্গনার প্রযেজনা সংস্থা ‘মনিকর্ণিকা’ ফিল্মসের ব্য়ানারে। প্রোডাকশন হাউজের তরফেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয় অসুস্থতা সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কঙ্গনা। প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধী ঘোষিত দেশের জরুরি অবস্থার প্রেক্ষাপটে তৈরি হচ্ছে এই ছবি, যা পরিচালনার দায়িত্বেও রয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত।
প্রযোজনা সংস্থার তরফে এক বার্তায় বলা হয়, ‘জ্বর, রক্তে শ্বেতকণিকা সঙ্কেত দিচ্ছে। যখন ডেঙ্গি এসে তোমায় শুইয়ে দিতে চায়, তবু তুমি কাজে পৌঁছে যাও ঠিক সময়ে, তখন বুঝবে, প্যাশন নয়, এটা পাগলামি। স্যালুট আমাদের চিফ কঙ্গনাকে।’ টিমের কাছ থেকে এমন বার্তা পেয়ে আপ্লুত কঙ্গনা, তিনি পালটা জানান, ‘ধন্যবাদ, শরীর অসুস্থ হয়, কিন্তু স্পিরিট নয়… তোমাদের এই মিষ্টি বার্তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ’।
বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কঙ্গনাকে ‘এমার্জেন্সি’তে দেখা যাবে দেশের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায়। এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন রীতেশ শাহ। হলিউডের জনপ্রিয় মেক-আপ আর্টিস্ট ডেভিড মালিনোস্কি এই ছবিতে কঙ্গনার প্রস্থেটিকের মেক-আপের দায়িত্বে রয়েছেন। ছবির ফার্স্ট লুকে কঙ্গনাকে দেখলে সত্যি থমকে যেতে হয়, ছবির মহিলা সত্যি কঙ্গনা না ইন্দিরা? তা ভাবতে বাধ্য হবেন আপনি।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত, টানা ২১ মাস ভারতে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধি। কঙ্গনার এই ছবিতে সেই সময়টাই তুলে ধরা হয়েছে।
ছবি নিয়ে এর আগে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, ‘পরিচালকের টুপি পরলাম দ্বিতীয়বার। গত এক বছর ধরে এমার্জেন্সিতে কাজ করার পর বুঝতে পারলাম এটা আমার থেকে ভালো বানাতে আর কেউ পারবে না।'
কঙ্গনা আগেই বলে দিয়েছেন ‘এমারজেন্সি’ কোনও বায়োপিক না, এটা একটা রাজনৈতিক ছবি। কঙ্গনার কথায়, ‘ইন্দিরা গান্ধির বায়োপিক নয় এই ছবি। বরং এটা একটা বড় প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরে। আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে এটা একটা রাজনৈতিক ছবি যা আমাদের জেনারেশনকে সাহায্য করবে বর্তমান ভারতের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে বুঝে নিতে।’