মঙ্গলবার বোম্বে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সিবিআই দ্বারা জারি করা লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) স্থগিত করেছে। এবং তাঁকে এক সপ্তাহের (২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি) জন্য দুবাই ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে। সিবিআই ২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের জন্য অভিনেত্রীর উপর লুকআউট সার্কুলার জারি করেছিল।
বিচারপতি কমল আর খাতা এবং জিতেন্দ্র এস জৈন-র একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ রিয়ার করা আবেদনের ভিত্তিতে এই আদেশ দিয়েছেন। একটি পোষ্য খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দুবাই ভ্রমণ করছেন তিনি।
২০ ডিসেম্বর সিবিআই-এর আইনজীবী শ্রীরাম শিরসাত আদলতকে জানান যে, অভিনেতা আর ওই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নন। এবং তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের দাবি যাচাই করার জন্য ফার্মকে চিঠি লিখেছিল এবং উত্তরের অপেক্ষায় ছিল। বেঞ্চ দাবি যাচাই করার জন্য সংস্থাকে সময় দেয় এবং চক্রবর্তীকে এলওসি-র থেকে পরিত্রাণ চেয়ে ২৬ ডিসেম্বর অবকাশকালীন বেঞ্চের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর ২০২০ সালে একটি ড্রাগ কেসে সিবিআই গ্রেফতার করে রিয়াকে। একমাস জেলে থাকার পর অক্টোবর মাসে জামিনে ছাড়া পান এই বাঙালি অভিনেত্রী। সেই সময়ই রিয়ার উপর জারি করা হয়েছিল লুকআউট নোটিস।
এর আগে ২০২২ সালের জুন মাসে একটি অ্যাওয়ার্ড ফাংশনের জন্য দুবাই যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে, বিদেশে যাননি রিয়া আর।দাবি করেন, সিবিআই যে তাঁর উপর লুক আউট নোটিস জারি করেছিলেন তা জানা ছিল না তাঁর।
আপাতত এক সপ্তাহের জন্য দুবাই যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন রিয়া, তবে একটাই শর্তে। ফিরে এসে ফের নিজের পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার সিবিআই আদালতকে জানায় যে, রিয়া আর সেই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নন এবং অন্য একজন অভিনেতা তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। যাইহোক, চক্রবর্তীর আইনজীবী প্রমাণ জমা দেন যে, তাঁর ক্লায়েন্ট এখনও একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং দুবাইতে তাঁর কাজের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ হিসাবে ফার্ম থেকে পাওয়া একটি ইমেলও জমা দিয়েছেন।
আদালতের তরফে সিবিআইকে প্রশ্ন করা হয় যে, কেন এটি অভিনেত্রীর করা আবেদনের বিরোধিতা করছে যখন চক্রবর্তীকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ সিবিআই-এর তরফে শেষবার ডাকা হয়েছিল এবং এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়নি। এতদিন কোনও তদন্তের প্রয়োজনও পড়েনি। যার প্রতিক্রিয়ায় সিবিআই জানায় যে, এই মামলাটির জন্য একটি নতুন বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করা হয়েছে।
আদালত রিয়াকেকে 'ফ্লাইট রিস্ক' বলে যে দাবি করেছে সিবিআই, সেটাও খারিজ করে দিয়েছে। আদালত মুম্বইতে শিকড়-সহ একজন অভিনেতা হিসেবে মর্যাদা হাইলাইট করেছে রিয়ার।