সিরিয়ালে সদ্য় বিয়ে সেরেছে মিঠিঝোরা-র নীলাঞ্জনা অর্থাৎ অভিনেত্রী দেবাদৃতা বসু। দিদির বদলে তাঁর প্রেমিকের গলায় মালা দিয়েছে নীলু। বউ বদল বাংলা টেলিভিশনে নতুন নয়, তবে এখানে বোনকে জোর করে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়েছে রাই। সম্প্রতি রাইপূর্ণা আর নীলাঞ্জনা হাজির হয়েছিল দিদির মঞ্চে। সেখানেই রচনার সঙ্গে আড্ডা দিলেন তাঁরা।
নতুন বছরে নতুন কোনও রেজোলিউশন নেই, তবে প্রতিদিন জীবনকে সেলিব্রেট করছেন দেবাদৃতা। টলি নায়িকাদের হাঁড়ির খবর জানতে জুড়ি মেলা ভার রচনার। দেবাদৃতা অবশ্য নিজের ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখেননি। অভিনেতা রাহুল দেব বসুর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন তিনি। মাস কয়েক আগেই সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছেন। এদিন বিয়ে নিয়ে দিদির প্রশ্নবাণে বিদ্ধ মিঠিঝোরার নীলাঞ্জনা।
রচনা সরাসরি জানতে চান, ‘দেবাদৃতা সেটেল হওয়ার প্ল্যান কবে?’ নায়িকা জবাবে বলেন, ‘এখনও ভাবিনি। কাজের জন্য নয়, আরেকটু সময় নিচ্ছি। সেটেল হয়েও আমি কাজ করতে পারব। আসলে সেটল হয়ে আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছ'। এরপর রচনা যোগ করেন, ‘তাছাড়া সিরিয়ালে এতবার হয়ে গেছে’ ।
দিদির কথায় হাসি চেপে রাখেননি দেবাদৃতা। তিনি বলেন, ‘সত্যি, আমার ৬ বার হয়েছে (বিয়ে)। আলাদা করে আর সত্যি…. আমি তো দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়ে দিতে পারব। এরপর এটা মিস হচ্ছে এটা করো, সিরিয়াসলি!’
বিজয়াতে প্রেমে সিলমোহর দিয়েছেন রাহুল-দেবাদৃতা। ‘জয়ী’র সুবাদে টেলিপাড়ায় আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিলেন দেবাদৃতা বসু। তখন মাত্র ক্লাস ১১-এর ছাত্রী ছিলে দেবাদৃতা। এরপর ধীরে ধীরে টেলিপাড়ায় পায়ের নীচের মাটি শক্ত করেন অভিনেত্রী।
একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই শুরু রাহুল-দেবাদৃতার প্রেমের গল্প। সান বাংলার একটি মেগায় দেবাদৃতার সঙ্গে কাজ করেছেন রাহুল, সেখানে যদিও হিরো নয় বরং ভিলেনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দুজনের সম্পর্কের বয়স প্রায় এক বছর।
সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেবাদৃতা আগে বলেছেন, ‘দু-দিক থেকে মেলামেশা করতে করতে ভালো লাগা তৈরি হয়েছিল। সবটাই মিউচুয়াল। আমার মনে হয়, আমরা এমন একটা স্টেজে ছিলাম যে দুজনে খুব ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। তিন-চার মাস পরে মনে হল আরও একটা ধাপ এগোনো যায়। ওইভাবে দিনক্ষণ মনে নেই’।
এর আগে অভিনেত্রী রুশা চট্টোপাধ্যায় এবং দুর্নিবার ঘরণী ঐন্দ্রিলা ওরফে মোহরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রাহুল। অন্যদিকে দেবাদৃতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কানাঘুষো শোনা গেলেও, সরাসরি কারুর হাত এর আগে ধরেননি নায়িকা।