দীপিকা পাড়ুকোন এর আগেও অবসাদ নিয়ে মুখ খুলেছেন। নিজের মুখে জানিয়েছিলেন কীভাবে একসময় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বারবার ভাবতেন নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা। এমনকী অভিনেত্রী এটাও জানিয়েছিলেন এই জার্নিতে তিনি পাশে পেয়েছিলেন পরিবারকে। বিশেষ করে মা-কে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফের এই নিয়ে কথা বলেন দীপিকা। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘হঠাৎ করেই এটা হয়েছিল। আমি কেরিয়ারের বেশ উপরেই ছিলাম তখন। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। কোনও কারণই ছিল না। আমি নিজেও জানতাম না কেন ওরকম ফিল করছি আমি।’
ঠিক কী করতেন অবসাদগ্রস্থ দীপিকা? অভিনেত্রী জানালেন, ‘কোনও কারণ ছাড়া কাঁদতে শুরু করতাম। এমন দিনও গিয়েছে যখন আমি ঘুম থেকেই উঠতে চাইতাম না। কারণ আমার মনে হত ঘুমিয়ে থাকলেই এটা থেকে বাঁচা সম্ভব। আমি আত্মহত্যার কথাও ভাবতাম।’ আরও পড়ুন: চরম পদক্ষেপ ওমির, সিড-মিঠাইকে মারতে মনোহরাতে লাগাল টাইম বোমা! বুক কাঁপানো প্রোমো
তবে সেই সময় প্রথম তিনি পাশে পেয়েছিলেন মা-কে। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দীপিকা জানান, ‘আমার পরিবার বেঙ্গালুরুতে থাকে। আমার কাছেও এসে থাকে। বাড়ির সবাই এলে আর পাঁচটা মানুষের মতো আমিও নিজেকে স্ট্রং দেখানোর চেষ্টা করতাম। এখনও করি। কিন্তু মনে আছে একদিন যখন মা-বাবা ফিরে যাচ্ছিল, আমি কেঁদে ফেলি। মা আমাকে জিজ্ঞেস করে কেন কাঁদছি। সেই প্রশ্নগুলোই করতে থাকে যা স্বাভাবিকভাবে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে, বয়ফ্রেন্ডের সমস্যা, কাজের সমস্যা? আমার কাছে সেসবের কোনও উত্তর ছিল না। মা তখনই বুঝে গিয়েছিল কোনও একটা সমস্যা হচ্ছে।’
২০১৫ সালে দীপিকা যখন প্রথম নিজের অবসাদ নিয়ে কথা বলেছিলেন তখন চোখ কপালে উঠেছিল অনেকেরই। তারকাদের মধ্যে তখনও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার চল ছিল না এখনের মতো। সঙ্গে কেরিয়ারের পিকে থাকা দীপিকার কেন অবসাদ হবে সেটা নিয়েও চর্চা চলত। অনেকেই সেই সময় বলেছিলেন রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণেই এমনটা হয়েছে দীপিকার সঙ্গে। আরও পড়ুন: 'ch***ya' কি গালাগালি? ডিকশনারি হাতে সেন্সর বোর্ডে গিয়েছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ
২০২০ সালে এই নিয়ে একটি টুইটও করেন দীপিকা। তাতে তিনি লিখেছিলেন, ‘অবসাদ আর মন খারাপ এক নয়। অবসাদ একটা রোগ। যেমন ক্যান্সার, ডায়বেটিস। তাই আমি অবসাদে আছি আর আমার মন খারাপ, দুটো এক নয়।’ সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার দিনেও একইভাবে মানসিক স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন দীপিকা। ২০১৫ সালে দীপিকা লাইভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন চালু করেন।