বিজেপি নেতার দাবি উড়িয়ে দিল মুম্বই পুলিশ। সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ান মৃত্যুর আগে কোনওভাবেই ১০০ নম্বর ডায়াল করেনি, জানাল মুম্বই পুলিশ। এর আগে বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক নীতিশ রানে দাবি করেছিলেন ৮ জুন মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগেই নাকি পুলিশের হেলফ লাই নম্বরে ফোন কেরছিলেন দিশা। সুশান্তের মৃত্যুর মাত্র পাঁচ দিন আগে মৃত্যু হয় দিশার।
সংবাদ সংস্থা এনএনআইয়ের দাবি, মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন মৃত্যুর আগে দিশা শেষ ফোন করেন তাঁর বান্ধবী অঙ্কিতাকে। কোনওভাবেই ১০০ নম্বরে ফোন করবার কোনও চেষ্টা দিশা করেছিল বলে জানা যায়নি'।
বিজেপি বিধায়ক নীতিশ রানে রিপাবলিক টিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে দাবি করেছেন দিশার বাগদত্ত রোহন রাইয়ের কাছে দিশার রহস্যমৃত্যু নিয়ে অনেক তথ্য রয়েছে। অথচ গত তিন মাস ধরে গায়েব রোহন। তিনি বলেন রোহনের উচিত সিবিআইকে সবটা খুূলে বলা। প্রয়োজনে তিনি নিজেও সিবিআইকে সাহায্য করতে রাজি আছেন বলে মত তাঁর।
দিশা ও সুশান্তের মৃত্যুর কোনওরকম যোগসাজশ নেই, দাবি করেছে মুম্বই পুলিশ। যদিও সিবিআই সুশান্তের মৃত্যু মামলার সঙ্গে দিশার যোগ খতিয়ে দেখছে। এই মামলায় দফায় দফায় সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়ছে হয়েছে কর্নার স্টোন কোম্পানির ডিরেক্টর বান্টি সচদেবকে। কর্নারস্টোন কোম্পানিতেই কর্মরত ছিলেন দিশা সালিয়ান। এবং এই কোম্পানির তরফেই শ্রুতি মোদীর অনুপস্থিতিতে সুশান্তের ম্যানেজার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল দিশাকে। সলমন খানের ছোটভাই সোহল খানের স্ত্রী সীমা খানের ভাই বান্টি।
৮ জুন মধ্যরাতে মুম্বইয়ের এক হাইরাইজের ১৪ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় দিশা সালিয়ানের। মুম্বই পুলিশের দাবি আত্মহত্যা করেছেন দিশা। সেই সময় ওই অ্যাপার্টমেন্টেই ছিলেন দিশার হবু বর রোহন রাই। দিশার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে গত মাসে মুম্বই পুলিশকে চিঠি লিখে সংবাদমাধ্যমের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিশার বাবা সতীশ সালিয়ান। মালবানি পুলিশ থানার এসিপিকে লেখা এক চিঠিতে দিশার বাবার অভিযোগ সংবাদমাধ্যম তাঁর পরিবারের ও মৃত মেয়ের সম্মানহানি করছে।
মুম্বই পুলিশ অফিসিয়্যাল জানিয়েছেন, ওই চিঠিতে দিশার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক নেতার যোগাযোগ কিংবা বলিউডের বড় তারকাদের সঙ্গে পার্টিতে যোগ দেওয়ার তত্ত্বও নাকি খারিজ করেছে পরিবার। চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর জন্যই নাকি ‘দিশার ধর্ষণ ও খুনের গল্প ফাঁদছে মিডিয়া’, মুম্বই পুলিশের তদন্তের পুরোপুরি সন্তুষ্ট দিশার পরিবার-তেমনটাও জানানো হয় ওই চিঠিতে।
গত মাসেই মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জোন-১১) বিশাল ঠাকুর বলেন, আমরা বলতে পারছি না দিশা কীভাবে পড়ে গিয়েছিলেন। অনেক মানুষ সালিয়ানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক তথ্য শেয়ার করছেন। আমরা অনুরোধ করছি এই মামলার সঙ্গে জড়িত কোনও উল্লেখযোগ্য সূত্র থাকলে সেটা মুম্বই পুলিশের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। তাহলে সঠিকভাবে তদন্ত হতে পারে।