১৯৮৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল সলমন-ভাগ্যশ্রী অভিনীত ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’। ছবিৎ চরিত্র সীমাকে মনে আছে? কোঁকড়ানো চুল, স্বভাবে উগ্র এবং মনে হিংসে ভর্তি চরিত্রে ছবিতে দেখা মিলেছিল তাঁর। সীমার আসল নাম পারভিন দস্তুর ইরানি। সিনেমায় প্রেম(সলমন)-এর উপর নজর ছিল সীমার। মনীষা কৈরালার সঙ্গে ‘দিল কে ঝরোকে মেঁ’ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি।
বলিউডে বেশ কয়েকটি নামী ছবিতে অভিনয় করেছিলেন পারভিন। কিন্তু ‘দিল কে ঝরোকে মেঁ’ বলিউড ছবিতে শেষবার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর বলিউড থেকে দশ হাত দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন সীমা। কোথায় তিনি? টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকরে পারভিন জানিয়েছেন, অভিনয় থেকে অনেক আগেই সরে এসেছিলেন তিনি। অল্প বয়সে মডেলিং করতে করতে অভিনয়ে প্রবেশ তাঁর।
নায়িকার কথায়, ‘আমরা যখন ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করতে আসি খুব বেশি বিষয়বস্তু নির্ভর ছবি তৈরি হত না তখন। দারুণ কোনও ছবি তৈরি হত না। সকলে বলত ‘আপনি ঘোড়া চালাবেন? সুইমিং পোশাক পরবেন?’ উল্লেখযোগ্য কোনও কাজের সুযোগ ছিল না। ফলে সরে আসি। অন্যান্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে ফেলি। এয়ার ইন্ডিয়ায় ১৫ বছর বিমান সেবিকা হিসেবে চাকরি করেছি। বহু বছর হেয়ার স্টাইলিং করেছি। থিয়েটার করেছি।’
হেয়ার স্টাইলিং নিয়ে পড়াশোনা করতে নিউ ইয়র্ক গিয়েছিলেন পারভিন। নিজের ছোট্ট একটি স্টুডিও তৈরি করেছেন। বর্তমানে হেয়ার স্টাইলিংকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। গত ২৫ বছর এই কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। জানিয়েছেন, ‘আমার খুব বাছাই করা ক্লায়েন্ট আছেন। অ্যাপয়েনমেন্ট ছাড়া আমি কাজ করি না।’
তবে সিনেমায় অভিনয় না করলেন মঞ্চে নিজের শিল্প সত্ত্বাকে বজায় রেখেছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘সিনেমার পর্দা থেকে সরে আসার পর থিয়েটারই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। মঞ্চ আমার মনের খুবই কাছের। কিন্তু খুবই সময় সাপেক্ষ। খরচ মিটছিল না।'