বিয়েটা নিয়ে কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি দুর্নিবার সাহা ও ঐন্দ্রিলা সেনকে (মোহর)। তব সব ট্রোলারদেরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুখের সংসার বেঁধেছেন দুজন। শুক্রবার ছিল দুর্নিবারের জন্মদিন। সকাল সকাল আদরে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন মোহর বরকে। দুর্নিবারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘এক হ্যালোতেই আমি তোমার পাশে আছি! শুভ জন্মদিন। আজ, আর প্রতিদিন…’। সঙ্গে ছবির প্রেক্ষাপটে বাজছে, দুর্নিবারের গাওয়া ‘আমার মহাকাশে’ গানটি।
কেমন কাটল বিয়ের পর দুর্নিবারের প্রথম জন্মদিন? কী উপহারই বা তিনি পেলেন বউ-এর থেকে। আনন্দবাজার অনলাইনকে গায়ক জানিয়েছেন, মোহরের কাছ থেকে পেয়েছেন দারুণ মিষ্টি একটা উপহার। যা তাঁর কাজে লাগবে দৈনন্দিন জীবনে। যদিও সেটা কী তা মুখ ফুটে বলেননি। সঙ্গে জানিয়েছেন, এই বছর জন্মদিনটা কাটিয়েছেন খুব শান্তিতে। আর যেহেতু বিয়ের পরের প্রথম জন্মদিন, তাই যেন একটু বেশিই স্পেশ্যাল।
৯ই মার্চ দুর্নিবার সাতপাকে ঘোরেন মোহরের সঙ্গে। এটা তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সামাজিক অনুষ্ঠান করে মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়কে বিয়ে করেছিলেন গায়ক। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে যায় সে বিয়ে। এত জলদি দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসায় নেটপাড়ার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল দুর্নিবারকে। অনেক পরে পালটা জবাব দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘চুপ করে আছি বলে দুর্বল ভাববেন না’। আর মোহর লিখেছিলেন, ‘চাইলেও মধুচন্দ্রিমার ছবি পোস্ট করতে পারছি না।’ ট্রোলারদের নতুন খোরাক দিতে রাজি হননি তাঁরা হয়তো পরিবার ও প্রিয়জনদের কথা ভেবেই। আরও পড়ুন: ‘দেখে যেমনটা মনে হয়…’, আরিয়ানের কোন সত্যি সামনে আনলেন শ্বেতা তিওয়ারির মেয়ে পলক!
মোহরের পরিচয় তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী। মোহর-দুর্নিবারের বিয়েটা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দিয়েছেন বুম্বাদা। মালা বদল থেকে শুভ দৃষ্টি, সব শুভ কাজেই হাজির ছিলেন।
অন্য দিকে, প্রাক্তনের বিয়ের আগে কটাক্ষে ভরা পোস্ট এসেছিল মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়ের সোশ্যাল মিডিয়ায়। লিখেছিলেন, ‘জীবনের রণবীর কাপুরকে যেতে দিন’। তখন সোশ্যাল মিডিয়ার বড় একটা অংশকে পাশেও পেয়েছিলেন। তবে এখন তিনি অনেকটাই চুপটাপ। বুঝেছেন, ধৈর্যই এখন সবচেয়ে বড় রাস্তা। প্রাক্তনের জন্মদিনেও তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় রা কাটলেন না মীনাক্ষী।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)