এষা দেওল এবং ভরত তখতানি কিছুদিন আগেই বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন। তাঁরা একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন। যাতে লেখা ছিল, ‘আমরা পারস্পরিকভাবে এবং বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জীবনে এই পরিবর্তনের আমাদের দুই সন্তানের সর্বোত্তম স্বার্থ এবং কল্যাণ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা প্রশংসা করব যদি আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করা হয়।’
এই দম্পতি তাদের বিবাহের ১১ বছর পর বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন। বিচ্ছেদের প্রকৃত কারণ অজানা থাকলেও, অনেকেই মনে করছেন এষার কাছে এটি বেশ চ্যালেঞ্জের।
আরও পড়ুন: চাই অটোগ্রাফ! গায়ের ট্যাঙ্ক টপ অরিজিতের দিকে ছুঁড়ে দিল মহিলা, লজ্জায় লাল গায়ক
বিচ্ছেদের ঘোষণার প্রায় সপ্তাহ দুই পর ইনস্টাগ্রামে ফিরলেন অভিনেত্রী। একটি সান কিসড সেলফি শেয়ার করলেন তিনি। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘যতই অন্ধকার হোক না কেন সূর্য উঠবেই।’
এর আগে এষাকে গোয়ায় রাকুল প্রীত সিং এবং জ্যাকি ভাগনানির বিয়েতে সামিল হতে দেখা গিয়েছিল। যেখানে পাপারাজ্জিরা অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি কেমন আছেন। জবাবে এষা বলেন, ‘আমি ঠিক আছি’।
আরও পড়ুন: সবে রাহুলের সঙ্গে ‘সহজ’ হয়েছে সম্পর্ক! প্রিয়াঙ্কার দাবি, ‘চেষ্টা করছি কিন্তু…’
এষার বিবাহ বিচ্ছেদের খবর নিয়ে ফিসফাস শুরু হয় যখন হিরে ব্যবসায়ী ভরত হেমা মালিনীর ৭৫তম জন্মদিনের উদযাপনে অনুপস্থিত থাকেন। বেশ ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়েছিল সেটি। বিনোদন ও শিল্প জগতের খ্যাতনামারা হাজির হয়েছিলেন সেখানে।
আরও পড়ুন: জাঙ্গিয়া পরে কাঞ্চন, হোটেলের ঘর থেকে লবিতে বের করে দেন যিশু, তারপর কী হয়েছিল!
এষা এবং ভরত ২০১২ সালের জুন মাসে গাঁটছড়া বাঁধেন এবং এটি তাদের পরিবার এবং বিনোদন জগতের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে একটি অন্তরঙ্গ বিবাহ ছিল। এই দম্পতির দুই মেয়ে রাধা ও মীরায়া। কাজের ফ্রন্টে, অভিনেত্রীকে শেষ দেখা গিয়েছিল অজয় দেবগন অভিনীত 'রুদ্র: দ্য এজ অফ ডার্কনেস' এবং 'এক দুয়া' নামে একটি শর্ট ফিল্মে, যা জাতীয় পুরস্কার জিতেছিল।
খবর, স্বামীর থেকে আলাদা হওয়ার পর মায়ের দেখানো পথেই হাঁটতে চান এষা দেওল। আর একথা নিজ মুখেই জানিয়েছেন হেমা মালিনী। গত ৩ বছর ধরে মথুরার সাংসদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন হেমা। এর এবার হেমা মালিনী মেয়ের রাজনীতির প্রতি আগ্রহের কথা জানিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এষা আগামী বছরগুলিতে রাজনীতিতে যোগ দিতে পারে কারণ ও আগ্রহী বলে মনে হয়।এষা রাজনীতিতে খুবই আগ্রহী। সে এই বিষয়টা পছন্দ করে। আগামী কয়েক বছরেও এই আগ্রহটা থাকলে ও অবশ্যই রাজনীতিতে যোগ দেবে’।