২০২৪-এ বলিউডের প্রথম বড় রিলিজ ফাইটার। প্রথমবার রুপোলি পর্দায় একসঙ্গে হৃতিক-দীপিকা। স্বভাবতই ফাইটার ঘিরে প্রত্যাশার পারদ ছিল তুঙ্গে। মুক্তির প্রথম দিন খানিক হতাশ করেছে এই ছবি। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ তো দূর অস্ত, হৃতিকের ‘ওয়ার’ কিংবা ‘ব্যাং ব্যাং’-এর চেয়ে প্রথমদিনে কম টাকা আয় করেছে ‘ফাইটার’। প্রজাতন্ত্র দিবসে ছবির কালেকশন লাফিয়ে বাড়বে আশা ছিল, সেইমতো ব্যবসা খানিক বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু দৌড়ে পিছিয়েই রইলেন হৃতিক-দীপিকা।
বক্স অফিসের রিপোর্ট বলছে শুক্রবার, প্রজাতন্ত্র দিবসে এই ছবি ৪১.২০ কোটি টাকার ব্যাবসা করেছে দেশজুড়ে। বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে এই ছবির টিকিট বিক্রির পরিমাণ ছিল,২৪.৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রথম দুদিনে দেশের বক্স অফিসে ‘ফাইটার’-এর মোট কালেকশন ৬৫.৮০ কোটি টাকা। দু-দিনে হাফ সেঞ্চুরি পার করলেও গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে মুক্তি পাওয়া শাহরুখের ‘পাঠান’-এর ধারেকাছেও নেই এই ছবি। ২৬শে জানুয়ারি দেশজুড়ে ৭০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল শাহরুখের ছবি, হৃতিক তার অর্ধেকেই আটকে গেলেন! এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, হৃতিকের কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় হিট ‘ওয়ার’ প্রথম দু-দিনে ৭৭.৭০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। অর্থাৎ সেই নিরিখেও পিছিয়ে রয়েছেন নায়ক।
ট্রেড বিশেষজ্ঞ তরণ আদর্শ শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ‘সকালে এবং দুপুরের দিকে খুব সাধারণ শুরু করেছে ফাইটার। তবে বিকাল ৫টার পর ফাইটারের টিকিট বিক্রি বেড়েছে। দর্শকদের থেকে ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে এই ছবি, ফলে টাকার অঙ্ক আগামিদিনে বাড়বে’।
দেশপ্রেমের ভাবনা ভরপুর এই ছবিতে। সমালোচক ও দর্শকদের প্রশংসা কুড়োচ্ছে টিম ফাইটার। শনি ও রবিবার ছবির আয় বাড়বে বলেই আশা বিশেষজ্ঞদের। রবিবারের মধ্যে দেশের বক্স অফিসে সেঞ্চুরি পার করবে এই ছবি। ২০০৪ সালের ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’ এবং ২০২৩ সালের ব্লকবাস্টার ‘পাঠান’-এর পর সিদ্ধার্থ আনন্দের সঙ্গে দীপিকার তৃতীয় ছবি এটি। হৃতিক রোশনের সঙ্গেও সিদ্ধার্থ আনন্দের এটি তৃতীয় সিনেমাও। ব্যাং ব্যাং,ওয়ার -এর পর ফাইটার নিয়ে হাজির তাঁরা।
এই ছবিতে স্কোয়াড্রন লিডার শামশের পাঠানিয়া ওরফে প্যাটির চরিত্রে রয়েছেন হৃতিক। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হৃতিককে টেক্কা দিতে তৈরি দীপিকা। ছবিতে স্কোয়াড্রন লিডার মিনাল রাঠোর ওরফে মিন্নির ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। এছাড়াও ছবিতে দেখা মিলেছে অনিল কাপুর, করণ সিং গ্রোভারদের।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোট শহরের আশেপাশে থাকা জঙ্গি শিবিরগুলিতে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে করা হয়েছিল এয়ার স্ট্রাইক। যা আসলে ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা কনভয়ের উপর হওয়া সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে। সেই হামলায় প্রায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিল। সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল ভারতকে। সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেএম) বৃহত্তম শিবিরের বিরুদ্ধে বিমান হামলা করা হয়েছিল সেনার তরফে। আর সেই সত্যি ঘটনাই উঠে এসেছে সিদ্ধার্থ আনন্দের সিনেমায়।
হৃতিকের কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় হিট ওয়ার (৩১৮ কোটি) এবং কৃষ (২৪৪ কোটি), সুপারস্টারের কেরিয়ারের তিন নম্বর ছবি হিসাবে ২০০ কোটির গণ্ডি কি ছুঁতে পারবে ফাইটার? জবাবের অপেক্ষায় সকলে।