সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় নূর। রাসমনীতে তাঁর আর দেখা মেলে না। কিন্তু জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। নিজের ফলোয়ার্সদের জন্য মূলত মজার মজার পোস্ট শেয়ার করে থাকেন তিনি। তবে এবার একটু রেগেই গেলেন অভিনেতা। বাংলাদেশে বসে যারা ক্রমাগত পাকিস্তানের গুণ গাইছেন, তাদের কড়া নিন্দা করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নূর ফেসবুকে লিখলেন, ‘এই প্রজন্মের যারা পাকিস্তান পছন্দ করেন অথবা আগামী প্রজন্মের যারা পাকিস্তানকে পছন্দ করবেন তার অবশ্যই বংশপরম্পরায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঔরসজাত সন্তান। যারা বাংলা ভাষা চায়নি, যারা বাংলাদেশ চায়নি তাদের প্রতি প্রেম মুসলিমত্ব এর দোহাই দিয়ে! তারা মুসলিম কিনা জানিনা তবে অবশ্যই মানুষ নয়।’ সঙ্গে অভিনেতা জুড়ে দেন, ‘হ্যাঁ এটা একটি রাজনৈতিক পোস্ট। আমি সশরীরে রাজনীতি না করলেও আমার রক্ত চুপ করে থাকে না...’
কেন এত রাগ? আনন্দবাজার ডিজিটালের হয়ে কলম ধরেছে নূর। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আমার ফেসবুক পোস্টে এবং ইনবক্সে কিছু মানুষ আমায় বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের ফেক প্রোফাইল দিয়ে। আমি নিশ্চিত, এরা মূলত জামাত ইসলাম শিবিরের লোক। যা বাংলাদেশে সরকারিভাবে অবৈধ এবং নিষিদ্ধ। …ভারতবর্ষের প্রতি আমার সম্মান নিয়েও তাদের আপত্তি। শেষ কিছু দিন, আমার ফেসবুকে এদের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।’
নূর জানান তাঁর মা, বাবা, ছোট কাকা মুক্তিযোদ্ধা। সেই পরিবারের সন্তান হিসেবে পাকিস্তান এবং পাক-পন্থীদের সঙ্গে হৃদ্যতার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নিজের লেখায় নূর লিখেছেন, ‘অনেকেই হয়তো বলবেন, ক্ষমা মহৎ গুণ। আমি বলব, ১৯৭১-এ যে দেশের (পড়ুন পাকিস্তান) সেনাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশকে পাকপন্থী তৈরি করা, তার জন্য আমাদের দেশের ৩০ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম নিতেও তাদের হাত থামেনি, আমি তাদের ক্ষমা করে মহৎ হতে চাই না।’
নিজের ফেসবুকের পোস্টের সমর্থনেই নূর আরও মনে করেন, ‘যারা বাংলা ভাষা চায়নি, যারা বাংলাদেশ চায়নি, সেই পাকিস্তানের প্রতি যাদের ভালবাসা তারা অবশ্যই ‘পাকিস্তানি উদ্বাস্তু’ হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান করছে।’
নূর তাঁর ফেসবুক পোস্টের কমেন্ট সেকশনে লিখেছেন, ‘এই পোস্ট শুধুমাত্র বাংলাদেশে প্রীতি এবং দেশাত্মবোধ বোঝানো হয়েছে। এই পোস্টটি করা সাহসের পরিচয় নয়, শিক্ষার পরিচয়। যে শিক্ষা মূল্যবোধ তৈরি করে। তাই পোষ্টটি ডিলিট করব না।’