প্রেম প্রস্তাব দিয়ে তিন বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন আমির খান! তাই নিজেকে এই মামলায় ‘দুর্ভাগ্যবান’ বলেই মনে করেন অভিনেতা নিজে।
দেড় দশক ধরে কিরণ রাও-এর সঙ্গে সুখে সংসার করছেন আমির খান, কিন্তু এমনও সময় ছিল যখন ভালোবাসার ক্ষেত্রে নিজেকে ভীষণ ‘দুর্ভাগ্যবান’ বলে মনে করতেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশানিস্ট। আমির জানিয়েছিলেন জীবনে প্রথম তিনবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন তিনি। অথচ আশির দশকের শেষে সেই চকোলেট বয়-এর প্রেমেই মোহিত হয়েছিল গোটা দেশ।
কোমল নাহতা-র টক শো ‘স্টারি নাইট’-এ হাজির হয়ে আমির জানিয়েছিলেন প্রথম প্রেমের গল্প। অভিনেতা বলেন, ১১ বছর বয়সে প্রথমবার প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। আমিরের ৫৬তম জন্মদিনে ফিরে দেখা তাঁর সেই পুরোনো প্রেমের গল্প।
‘আমি প্রথমবার প্রেমে পড়েছিলাম তখন আমার বয়স ১০ কিংবা ১১। একদম এক তরফা ভালোবাসা ছিল, আমি পাগলের মতো ভালোবেসেছিলাম মেয়েটাকে। কিন্তু বলে উঠতে পারিনি, কোনভাবেই নয়! আমি আসলে খুব চুপচাপ প্রকৃতির মানুষ তো’, জানান আমির। মেয়েটি কী জানত আমিরের এই অনুভূতির কথা? এই প্রশ্ন আমিরের কাছে রাখা হলে তিনি বলেন, ‘বোধহয় জানত না’। পরবর্তী সময়ও নিজের প্রথম প্রেমের সঙ্গে দেখা হয়েছে আমিরের, কোনওদিনই সাহস করে ভালোবাসার কথা বলা হয়ে উঠেনি।
শুরুর দিকে প্রেমে ডাহা ফেল করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন আমির। তিনি বলেন, ‘আমি খুব দুর্ভাগ্যবান প্রেমের মামলায়, অন্তত শুরুর দিকে তাই ছিল। আমি প্রথম তিনবার প্রেম প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছি। তিন বারের পর, আমি ভেবেছিলাম, এটা আমার জন্য নয়। অবশেষে আমার যখন ১৬ বছর বয়স হবে, তখন আমি এক মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হই, সেও আমাকে পছন্দ করত’।
আমির খান বলিউডে কেরিয়ার শুরুর আগেই বিয়ে করেছিলেন নিজের প্রতিবেশী রিনা দত্তকে। তাঁদের দুই সন্তান- ইরা ও জুনায়েদ। ২০০২ সালে ১৬ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানেন আমির-রিনা। এর তিন বছর পর ‘লগান’ ছবির সহকারী পরিচালক কিরণ রাও-কে বিয়ে করেন আমির। তাঁদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে- আজাদ খান।