বলিউডের ইয়াং ব্রিগেডের অন্যতম চর্চিত তারকা সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। সহকারী পরিচালক হিসাবে বলিউডে জার্নি শুরু করেছিলেন এই আউটসাইডার। ২০১২ সালে করণের স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার হিসাবে শুরু করেন রুপোলি সফর, প্রায় এক দশক পার করে আজ লক্ষ অনুরাগীর হৃদয়ে রাজ করছেন এই মালহোত্রা। আজ ৩৬-এ পা দিলেন সিদ্ধার্থ। থ্যাঙ্ক দড, মিশন মঞ্জুর মতো একগুচ্ছ বিগ বাজেট ছবি রয়েছে সিদ্ধার্থের ঝুলিতে,মুক্তির অপেক্ষায় শেরশাহ- সব মিলিয়ে বেজায় ব্যস্ত সিদ্ধার্থ। নিজের বার্থ ডে প্ল্যান থেকে
আজকের বিশেষ দিনটার জন্য কোনও বিশেষ প্ল্যান রয়েছে?
এই বছর আমার সঙ্গে শহরে মা-বাবা রয়েছেন। তাই ঘরোয়াভাবেই সেলিব্রেট করব, কোনও বড়ো কিছু ধামাকা প্ল্যান করিনি। গত বছর (জন্মদিনে) পরিবারকে খুব মিস করেছি, তাই ভগবানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আজকের দিনটা তাঁদের সঙ্গে কাটাবো।
২০২০-টা ভীষণ কঠিন ছিল, নতুন বছরটা কেমনভাবে দেখছো?
আমার জন্য ভীষণ ব্যস্ত, ক্রিয়েটিভ এবং কাজের মধ্যে থাকব- এমন একটা বছর হতে চলেছে ২০২১। গত বছর ঘরে থেকে প্রচুর স্ক্রিপ্ট পড়বার সুযোগ পেয়েছি, কিছু মানুষের সঙ্গেও দেখা হয়েছে। আমি সেইসব গল্প বেছেছি, যার অংশ আমি হতে চাই। আমার মনে হয় ২০২১ সালটা কাজে কাজে কাটবে, ভিন্ন ভিন্নরকম গল্পের অংশ হব, অনেকরকম জঁর ছবি করব- মানুষকে নিখাদ বিনোদন পৌঁছে দেব। আশা করছি এই অতিমারী পরিস্থিতিটা যত দ্রুত সম্ভব আমরা পার করব, সকলে সুস্থ থাকুক। ভ্যাকসিন হোক বা যে কোনওভাবে হোক এই পরিস্থিতিটা যেন আমরা জয় করতে পারি।
তোমার তো একগুচ্ছ ছবি হাতে রয়েছে। কেমন অনুভূতি?
আমার দুটো ছবি মুক্তির জন্য তৈরি- শেরশাহ এবং মিশন মঞ্জু। থ্যাঙ্ক গড পাইপলাইনে রয়েছে, তারপর আরও কিছু ছবির কাজ হাতে রয়েছে। ভীষণরকমভাবে এক্সাইটেড ভিন্ন ভিন্ন জঁরের ছবিতে কাজ করতে, মানুষকে এন্টারটেন করতে- একাধিক চরিত্র দিয়ে মানুষের মন জয় করাটাই আমার লক্ষ্য।
জন্মদিনের জন্য বিশেষ কোনও ইচ্ছা বা প্রার্থনা রয়েছে?
আমি চাই মানুষ শেরশাহ দেখুক। এটা একটা দারুণ গল্প এবং সত্যিকারের ঘটনা নির্ভর- বাস্তব হিরোর গল্প। এটা নিয়ে আমি অনেক বছর ধরে কাজ করছি। এটা আমার জন্য একটা লম্বা এবং কঠিন রাস্তা ছিল। পরিচালক বদল, প্রযোজক বদলের পর- অবশেষে এখানে পৌঁছেছি আমরা। আমি চাই যত বেশি মানুষ এই ছবিটা দেখবে সেটাই মঙ্গল। আশা করছি খুব শীঘ্রই এটা দর্শক দেখতে পাবে।