সোমবার ৫১ পা দিলেন অভিনেতা সোহেল খান। খান পরিবারের সবচেয়ে লাডলা সদস্য তিনি। সলমন খান এবং আরবাজ খানের ছোট ভাই সোহেল। সেলিম খানের কনিষ্ঠ পুত্র শুধু অভিনয় নয়, প্রযোজনা এমনকি পরিচালনার কাজেও যুক্ত থেকেছেন।
সলমনের মতো সাফল্য বা স্টারডম না পেলেও দীর্ঘদিন ধরে বলিউডে টিকে রয়েছেন সোহেল। তিন ভাইয়ের বন্ডিং আজও সবার নজর কাড়ে। ছোট থেকেই খান পরিবারের তিন ছেলের মধ্যে ভারী ভাব. তবে দুষ্টুমিতেও কম যেতেন না তাঁরা। জানেন কি সলমন একবার পাথর ছুঁড়ে এমন মেরেছিলেন যে রক্তাক্ত হয়েছিল ছোট ভাই। সেই ঘটনার কথা নিজের মুখেই ফাঁস করেছেন সলমন।
একবার ‘দ্য কপিল শর্মা শো’তে এসে সলমন জানিয়েছেন- ‘আমরা তিন ভাইয়ে মিলে একবার টারজান সিনেমা দেখছিলাম, এরপর পাথর ছুঁড়ে একটা খেলা খেলছিলাম। আমি ওই খেলার মধ্যে এতটাই ডুবে গিয়েছিলাম যে আমি ভুলবশত সোহেলকে পাথর মেরে বসি। ওই সময় সোহেল খুব ছোট। আসলে সোহেল একটা ডাস্টবিনের পিছনে গিয়েছিল, এরপর যথন উঠল দেথলাম চিত্কার করে কাঁদছে আর ওর সারা মাথা রক্তে ভর্তি। আরবাজ আর আমি ওই দৃশ্য দেখে ওখান থেকে দে ছুট’।
পরিচালক হিসাবে বলিউডে আত্মপ্রকাশ সেলিম খান ও সলমা খানের ছোট ছেলের। ছবির নাম ছিল ‘আওজার’, লিড রোলে অভিনয় করেছিলেন সলমন। সেই ছবি বক্স অফিসে না চললেও দুই দাদাকে নিয়ে তৈরি পরিচালক সোহেলের পরের ছবি হইচই ফেলেছিল। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া সেই ছবির নাম ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’। এই ছবির প্রযোজক এবং যৌথ কাহিনিকারও ছিলেন সোহেল। ‘মেয়নে দিল তুঝকো দিয়া’ ছবির সঙ্গে অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখেন সোহেল।
পরবর্তী সময়ে ‘মেয়নে প্যায়ার কিঁউ কিয়া?’, ‘বীর’, ‘টিউবলাইট’- এর মতো ছবিতে সলমন খানের সঙ্গে স্ক্রিন স্পেস শেয়ার করে নিয়েছেন সোহেল। দাদা সলমনের সঙ্গে খুব স্ট্রং বন্ডিং সোহেল, আরবাজের। সুখে-দুঃখে সর্বদা দাদার পাশে থাকেন দুজনে। কম যান না তিন দাদার দুই বোন, আলভিরা, অর্পিতাও।