হিরণ চট্টোপাধ্যায় একটার পর একটা আঘাত শানিয়েই যাচ্ছেন তৃণমূল তারকা বিগ্রেডের বিরুদ্ধে। প্রথমে তিনি রবিবার চন্দ্রকোণায় একটি সভায় গিয়ে দেব, সায়নী ঘোষ সহ বনি সেনগুপ্তকে নাম ধরে ধরে কটাক্ষ করেন। বলেন টলিউডের ৯৯ শতাংশ নাকি দুর্নীতিগ্রস্ত। এরপর সোমবার সায়নী ঘোষ তাঁর কথার জবাবে তাঁকে নমক হারাম বলে কটাক্ষ করেন। বলেন যেখানে এতদিন করে খেয়েছেন সেখানকার ব্যাপারে একজন এসব বলছেন। এবার সায়নীকে ফের পাল্টা জবাব দিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা হিরণ।
সোমবার সায়নী তাঁকে আক্রমণ শানানোর পর রাতেই তিনি সায়নীর উদ্দেশ্যে বলেন, 'সায়নী ঘোষ কে? কেন তার কথার জবাব দেব? কটা সিনেমা করেছে ও?' তিনি এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের পলাশীতে একটি মন্দির উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি এমন কথা জানান।
তবে কেবল এক সায়নীকে নয়, তিনি গোটা তৃণমূল দলটির বিরুদ্ধেই মুখ খোলেন। বলেন, 'তৃণমূল সরকার চোরদের দল। এই দলের সঙ্গে টলিউডের যে অভিনেতা পরিচালকরা আছেন তাঁদের বলছি এই চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। এরপর তো রাস্তায় দেখা হলে মানুষ গাড়ির জানালা খুলে বলবে এই চোরের দলের সঙ্গে অমুক অভিনেতা বা অভিনেত্রী আছে।'
হিরণ এদিন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে এক হাত নেন টলিউডকে। দুর্নীতি কাণ্ডে টলিউডের নাম জড়ানো নিয়ে তিনি বলেন, 'এখন লুকানোর তো কিছু নেই। অয়ন শীল, কুন্তল ঘোষের ফান্ডিংয়ে যে সিনেমাগুলো হচ্ছিল সেটা তো সামনে এসেই গিয়েছে। আবারও বলছি এই চর সরকারের সঙ্গে টলিউডের যে পরিচালক, প্রযোজকরা আছেন তাঁরা এখনই সরে আসুন। সময় আছে। বেশি গলাগালাজ করে লাভ নেই।'
টলিউড বা সায়নীকে একা নয়। টলিউডের তৃণমূল তারকা ব্রিগেডের নেত্রী তথা তৃণমূলের সুপ্রিমো, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এদিন হিরণ সরাসরি তোপ দাগেন। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃণমূলে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো সবকিছু জানেন। সব দফতর তো ওঁর। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানিকে সরিয়ে অন্য দফতরে মন্ত্রী পদে বসানো হল। আর সংখ্যালঘু দফতর নিজের দায়িত্বে রেখে নিলেন। তা নয় হল, কিন্তু বিধানসভাতেও প্রশ্ন উত্তর পর্বে অন্য মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে জবাব দেন উনি।'