১১ অগস্ট হলে মুক্তি পেয়েছে ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য। যা পরিচালনা করেছেন বিরসা দাশগুপ্ত বড় পর্দার জন্য। তবে শরদিন্দুর এই একই গল্প নিয়ে ব্যোমকেশ বানিয়েছেন একইসময়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যা আসছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে। দেবের ছবি মুক্তির তৃতীয় দিনে প্রকাশ্যে এল ‘দুর্গ রহস্য’-এর টিজার।
বিরসার ব্যোমকেশ হয়েছেন দেব। আর তাঁর সত্যবতী রুক্মিণী মৈত্র এবং অজিতের ভূমিকায় অম্বরীশ ভট্টাচার্য। হল ফেরত দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেবকে ব্যোমকেশ হিসেবে দেখে। অনেকেই বলছেন, সেই ক্ষুরধার স্বভাবটাই যেন মিসিং। বরং দেবের ব্যেমকেশ বেশ শান্ত। ফ্যামিলি ম্যান সত্তা যতটা ফুটে উঠেছে, ততটা সত্যান্বেষী সত্তা নয়।
হইচইয়ের তরফে টিজের শেয়ার করে লেখা হল, ‘আসলে সত্যান্বেষী সবাই। শুধু সবার সত্যটা আলাদা!’ টিজারে প্রথম শটে দেখা যাচ্ছে ব্যোমকেশ দুরবীনে চোখ রেখে তাকিয়ে আছে দুর্গের দিকে। এরপর একটা জিপ যাচ্ছে লাল মাটির রাস্তা ধরে দুর্গে। ফ্ল্যাশব্যাকে একবার রাতের আঁধারে দুর্গে হামলার দৃশ্য। এক মহিলার লাফিয়ে পড়া। তারপরই বেজে উঠল ফোনেক রিং। একে একে দেখা মিলল ব্যোমকেশ হিসেবে অনির্বাণ, সত্যবতী হিসেবে সোহিনী ও অজিত হিসেবে রাহুলের। এরপর অনির্বাণের মুখে, ‘আসলে সত্যান্বেষী সকলে অজিত। আমি, তুমি, সত্য। শুধু সবার সত্যটা আলাদা।’ টিজারের শেষে দেখা গেল, সত্যবতীর কোলে তার আর ব্যোমকেশের সদ্যোজাত সন্তান। এই সিরিজের পরিচলান করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
শরদিন্দু-র একই গল্প নিয়ে একই সময়ে দুই ব্যোমকেশ তৈরি হওয়া বেশ একটা টক্করের পরিস্থিতি তৈরি করেছিল টলিউডে। মাঝে রটে গিয়েছিল, হলে আর ওয়েবে একই সময়ে অর্থাৎ অগস্টেই মুক্তি পেয়ে যাবে ব্যোমকেশ। বন্ধুত্বের হাতটা প্রথম বাড়িয়ে দেন দেবই। তাঁর ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্যের ট্রেলার মুক্তির দিন ডেকে নেন সিরিজে ব্যোমকেশের টিমকেও। অজিত রাহুল না আসতে পারলেও, ছিলেন অনির্বাণ, সোহিনী, সৃজিত। সঙ্গে সৃজিতের পরের ছবিতে দেব আর রুক্মিণীর কাজ করার কথা হওয়াও হয়তো একটা মিলমিশেরই সূত্রপাত।
আপাতত ঠিক আছে, সিনেমা হলে ব্যোমকেশ আসার মাস দুই পরেই ওয়েব সিরিজ আসবে হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। যেহেতু সিরিজ আর সিনেমার দর্শক আলাদা, সেকথা মাথায় রেখেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
হইচইয়ের ব্যোমকেশের টিজার দেখে একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘দেব ঠিক আছে কিন্তু অনির্বাণ ফাটিয়ে। কোনও তুলনা হয় না।’ আরেকজন লিখলেন, ‘অনির্বাণের গলার আওয়াজটা…’। তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘এটাই আসল ব্যোমকেশ’। চতুর্থজন আবার একটু আশাহত হয়ে লিখেছেন, ‘এই গল্পটাই তো কাল দেখে এলাম দেবদা করেছে। আপনারা কেন এটাই করলেন। অন্য কিছু করলে তো ভালো হত বেশি।’