অবশেষে ডিভোর্স পেলেন হানি সিং এবং তাঁর স্ত্রী শালিনী তলোয়ার। বিয়ের এগারো বছর পর অবশেষে তাঁরা এই সম্পর্ক থেকে দুজনেই মুক্তি পেলেন। দিল্লি কোর্টের তরফে তাঁদের এই সম্পর্ক থেকে মুক্তি দেওয়া হল।
হানি সিং এবং শালিনী তলোয়ারের ডিভোর্স
৭ নভেম্বর অবশেষে ডিভোর্স পেলেন হানি সিং। দিল্লি কোর্টের তরফে হানি এবং তাঁর স্ত্রী শালিনী তলোয়ারকে ডিভোর্সের আবেদনে অনুমতি দেওয়া হয়। ফ্যামিলি কোর্টের প্রধান বিচারক পরমজিৎ সিং আড়াই বছর ধরে চলা এই মামলার নিষ্পত্তি করে তাঁদের ডিভোর্সের আবেদনে অনুমোদন দিলেন। যদিও তাঁদের ডিভোর্সের আবেদনে অনুমোদন দেওয়ার আগে শেষবারের মতো হানি সিংকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে চান কিনা। উত্তরে র্যাপার সাফ সাফ জানিয়ে দেন কোনওভাবেই তাঁরা আর একসঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ৯ বছর পর আবারও শাহরুখের হাত ধরলেন ফারাহ? রোহিতের সঙ্গে জুটি নিয়ে জল্পনা
আরও পড়ুন: শুভেচ্ছা জানাতে অস্বীকার, তবুও মহম্মদ শামি দীর্ঘদিন দলে থাকুন কেন চান তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী?
হানির বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ এনেছিলেন শালিনী?
২০২১ সালে হানি সিংয়ের প্রাক্তন স্ত্রী অভিযোগ করেন যে তিনি নাকি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। তিনি আরও জানান গায়ক একা নন তাঁর গোটা পরিবার তাঁর উপর শারীরিক, মানসিক, ইমোশনাল এবং যৌন নির্যাতন চালাতেন। ২০২২ সালে অবশেষে তাঁরা দুজনেই দিল্লি কোর্টে ডিভোর্সের কেস ফাইল করেন। সেই সময় শালিনীকে খোরপোষ হিসেবে গায়ক ১ কোটি টাকা দেন।
প্রাক্তন স্ত্রীর আনা অভিযোগের বিষয়ে কী বলেছিলেন হানি?
শালিনীর আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন হানি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের মাধ্যমে জানান, তিনি প্রাথমিক ভাবে কোনও অভিযোগ নিয়েই কিছু বলেননি। কিন্তু যখন তাঁর পরিবারকে এর মধ্যে টানা হচ্ছে তখন তিনি জবাব দিতে বাধ্য হলেন। এবং তাঁর কথায় এই অভিযোগগুলো মিথ্যে এবং মানহানিকর।