আইনকে থোড়াই কেয়ার! পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে নিজের দাপট দেখাচ্ছেন এক প্রভাবশালী। সেই ব্যক্তিই সেখানে একদল মিউজিশিয়ান কে আটকে রেখেছেন বলেই অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের থেকে দাবি করা হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকাও। এবার মিউজিশিয়ানদের মুক্তির দাবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন ইমন চক্রবর্তী এবং লোপামুদ্রা মিত্র।
ফেসবুকে লাইভ এসে ইমন এবং লোপামুদ্রা মিত্র দুজনেই পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে পুলিশ গোটা বিষয়টার দিকে নজর দেয় এবং এই শিল্পীদের মুক্ত করানোর ব্যবস্থা করাতে পারে। তাঁদের সেই লাইভ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
লোপামুদ্রা মিত্র তাঁর ফেসবুক লাইভে এসে এদিন বলেন, ‘আমার কয়েকজন মিউজিশিয়ান বন্ধু কাঁথিতে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে আটকে রয়েছেন। ঠিক কী কারণে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে সেটা নিয়ে নিশ্চিত নই। তবে আমিও এরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি তাই ধারণা করতে পারি নিশ্চয় অর্গানাইজার সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েছে। আমি এই বিষয়ে পুলিস ও পশ্চিমবঙ্গের তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
লোপামুদ্রার পর এদিন ইমন চক্রবর্তীও লাইভে আসেন। তিনিও তাঁর বক্তব্যে একই কথা জানান। গায়িকা বলেন, 'গানবাজনা করতে চাওয়ার পরিণাম কী এই যে একটা দলকে চার পাঁচদিন আটকে রাখা হবে? যারা এই কাজ করেছেন তাদের দুঃসাহস দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। আমি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে করজোড়ে অনুরোধ করব যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা ব্যবস্থা নিন।'
আসলে বিষয়টা কী ঘটেছিল? দেবশ্রী রায়ের এক জায়গায় মাচা শো করতে যাওয়ার কথা ছিল। ৩রা এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির জুনপুট কোস্টাল থানা এলাকার বকশিসপুরে অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। কিন্তু কথা দিলেও অনুষ্ঠানে পৌঁছতে পারেননি অভিনেত্রী। আর সেই ঘটনার জেরেই উদ্যোক্তারা শিল্পীদের তো বটেই সঙ্গে তাঁদের কয়েক লক্ষ টাকার বাদ্য যন্ত্র আটকে রেখেছেন।
তবে দেবশ্রী রায়ের তরফে জানা গিয়েছে তিনি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করেন। কিন্তু আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তিনি বিরক্ত হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, 'আমি তো গিয়েছিলাম। ওরা পুলিশের অনুমতি পর্যন্ত নেয়নি। মিউজিশিয়ানদের যেভাবে আটকে রেখেছে তা অপরাধ। ওদের পরিবার তো কিডন্যাপের অভিযোগ করতে পারে।'