টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র রহস্যমৃত্যু ঘিরে এখন তোলপাড় টলিগঞ্জ। রবিবার একটু সকাল গড়াতেই আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল এই খবর। এরপর সময় যত এগিয়েছে ততই জটিল হয়েছে এই মৃত্যু মামলা। আপাতত এই মামলায় পুলিশ হেফাজতে পল্লবীর সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী। সোমবারই সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুন ও প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। যদিও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে আত্মহত্যাই করেছেন পল্লবী।
স্টার জলসাতে ‘আমি সিরাজের বেগম’ সিরিয়ালে লুৎফানিসা বেগমের চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিলেন পল্লবী। আত্মহত্যা করবার মেয়েই নয় পল্লবী, বলছেন তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ভাবনা এবং প্রত্যুষা। কিন্তু রবিবার সকালে গড়ফার ফ্ল্যাটে কী এমন ঘটল, যে অচিরেই শেষ হয়ে গেল প্রাণবন্ত একটা মেয়ে!
পল্লবীর মৃত্যু নিয়ে আগেই ইঙ্গিতপূর্ণ স্টেটাস দিয়েছিলেন সৌমিতৃষা। এবার সরাসরি এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মিঠাইরানি। মাত্র ২২ বছর বয়সেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছে সে, তাঁর জনপ্রিয়তা এই মুহূর্তে টেক্কা দেবে টলিউডের সুপারস্টারদের। কিন্তু অল্প বয়সেই পরিণত মনের মানুষ সৌমিতৃষা তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। সৌমিতৃষা পল্লবীকে নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও জানান, আজকের প্রজন্মের সমস্যা হল তাঁরা বড্ড জলদি হাল ছেড়ে দেয়। বাড়ির লোকের সঙ্গে সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা উচিত বলে মনে করেন সৌমিতৃষা।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করেন সৌমিতৃষা। দিনের শেষে বাবা-মা'ই সবচেয়ে আপন মনে করে উচ্ছেবাবুর তুফান মেল।
পল্লবীর মৃত্যুর পর অনেকেই আজকের প্রজন্মের জীবনযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকেই বলছেন লিভ ইন সম্পর্ক একবারেই অনুচিত। সেই নিয়ে কী ভাবনা সৌমিতৃষার? নিজে লিভ ইন বা সহবাসের একদমই পক্ষপাতী নন তবে যদি কেউ তেমন সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তাহলেও সেটা অসুবিধার নয়। কিন্তু যদি সঙ্গীর সঙ্গে কোনও সমস্যা হয় সেটা বাবা-মা'কে জানানো উচিত।