২০২৩ সালে শাহরুখ দিয়ে চলেছেন চমকের পর চমক। এক তো ৪ বছর পর ফিরেছেন তিনি রুপোলি পর্দায়। রইস, ফ্যান, জিরো-র মতো ছবি ফ্লপ করলে একটা বড় বিরতি নিয়ে নেন তিনি। তারপর ৪ বছর পর একবারে অ্যাকশন মোডে ফেরেন বড় পর্দায়। বছরের শুরুতে এসেছিল যশরাজের স্পাই ইউনিভার্সের থেকে পাঠান। যা বিশ্বব্যপী ১০০০ কোটি আয় করে। আর ভারতের বাজারে ছবির আয় ৫৪২ কোটি। পাঠানই ছিল সবচেয়ে উপার্জনকারী হিন্দি সিনেমা।
তবে জওয়ান আসায় পাঠান দিয়ে তৈরি করা নিজের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেললেন শাহরুখ নিজেই। হলে সিনেমা দেখতে এবার রাত জাগল দর্শক। ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছিল জওয়ান। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখার ক্রেজ এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, ৬ সেপ্টেম্বর রাত থেকে বড় বড় মাল্টিপ্লেক্স, সিঙ্গেল স্ক্রিনের নীচে রাত জাগতে শুরু করে শাহরুখ ভক্তরা। আর এই চিত্র শুধু মুম্বইয়ের নয়, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কলকাতার মতো শহরেরও। যেখানে ভোর ৪টে কিংবা ৬টার শো-ও যায হাউজফুল।
জওয়ান বক্স অফিস রেকর্ড
৭ সেপ্টেম্বর জওয়ান খাতা খোলে ৭৫ কোটি দিয়ে। প্রথম সপ্তাহের শেষে ছবি ব্যবসা করে ৩৮৯.৮৮ কোটি। এরপর দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে জওয়ানের আয় হয় ১৩৬.১ কোটি। আপাতত চলছে তৃতীয় সপ্তাহ। তৃতীয় শুক্রবারে জওয়ানের সংগ্রহ ছিল ৭.৬ কোটি। শনি ও রবিবারে তা বেড়ে হয় ১২.২৫ ও ১৪.৯৫ কোটি। তবে সোমবারে এসে তা ফের কমল অনেকটাই। sacnilk.com-Sj প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে ছবি সংগ্রহ করল ৫.৩০ কোটি। দেশের বাজার থেকে ছবির মোট আয় গিয়ে দাঁড়াল ৫৬৬.০৮ কোটিতে।
আপাচতত ধারণা করা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে ৬০০ কোটির ঘরে পদার্পণ করেই হয়তো যাত্রাশেষ হবে জওয়ানের। আর শাহরুখ খানের এই রেকর্ড ভাঙা খুব একটা সহজ হবে না।
আপাতত ২৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে দ্য ভ্যাক্সিন ওয়ার ছবিখানার। যার পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। ভারতের করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন বানানোর যে লড়াই সেটাই ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। এরপর ৬ নভেম্বর আসছে অক্ষয় কুমারের মিশন রানিগঞ্জ। মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার যশবন্ত সিং গিল ১৮৯৯ সালে রানিগঞ্জের কয়লাখনির ধ্বসে যেভাবে ৭১ জন কর্মীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন তা-ই দেখান হবে এই ছবিতে। আর এই দুটো সিনেমা মুক্তি পেলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে জায়গা ছাড়তে হবে জওয়ানকে।
যদিও ডিসেম্বরে ফের আসবেন শাহরুখ ডাঙ্কি নিয়ে, রাজকুমার হিরানির পরিচালনায়, বিপরীতে তাপসী পান্নু।