সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পেস্ট করে এম-১৬ ছবি ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন জিতু কমল। কদিন আগে নিজেই এই ছবিতে কাজের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন সকলকে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কী হয়ে গেল রাতারাতি।
জিতু যেই সিনেমা থেকে সরে এলেন, সেটি প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন নেক্সজেন ভেঞ্চার। এদের সঙ্গে প্রথমে মির্জা আনার ঘোষণা করেছিলেন অঙ্কুশ হাজরা। এরপর অঙ্কুশ আর নেক্সজেনের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হলে সরে আসেন অঙ্কুশ নিজের সিনেমা নিয়ে। এবার নেক্সজেনের ছবি থেকে সরে দাঁড়ালেন কেন জিতু হঠাৎ?
আজকাল-কে প্রযোজনা সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে যে, জিতু নাকি এই সিনেমায় সমান্তরালভাবে কোনও নায়ককে মেনে নিতে পারছিলেন না। সোহমের কথা উঠলে বারবার কাটিয়ে দিয়েছেন। এমনকী বাংলাদেশের নায়ক অপূর্ব-র কথাতেও রাজি হননি। আর শেষে ‘ভয় পেয়ে সরে দাঁড়ালেন’। শুধু তাই নয়, জিতু ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে’ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও দাবি করে ওই প্রযোজনা সংস্থা।
সোমবার ছবি ছাড়ার ঘোষণা খুব বিনীতভাবেই করেছিলেন ‘মানুষ’ অভিনেতা। লিখেছিলেন, ‘আমার সকল শুভানুধ্যায়ী, অনুরাগী ও মিডিয়ার বন্ধুদের জানাতে চাই যে, আমি জিতু কমল M-16 সিনেমাটির সঙ্গে আর যুক্ত নই। যার পরিচালক ছিলেন এমএন রাজ আর প্রযোজক নেক্সটজেন ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেড। গোটা টিমকে আমার তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা।’
তবে ‘নিরাপত্তাহীন’ তকমা দেওয়ার পর সরাসরি অভিযোগে তুললেন জিতু নেক্সজেন ভেঞ্চার টিমের দিকে। আনলেন মারাত্মক কিছু অভিযোগ। জিতু জানালেন, সবাই এম-১৬ সিনেমার যে পোস্টার দেখছে, সেটা তাঁর অনুমতি না নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছিল। এমনকী পোস্টারে জিতুর মুখ থাকলেও, শরীরটা অভিনেতার নয় নয়। অন্যের শরীরে জিতুর মুখ বসিয়ে তৈরি করা হয়েছিল পোস্টার।
শুধু তাই নয়, ক্রমাগত চিত্রনাট্য বদল হয়ে চলেছে নভেম্বর মাস থেকে। তাই চরিত্রের জন্য যে প্রস্তুতি নিতে হয় সেটাও নিতে পারেননি জিতু। একইসঙ্গে শ্যুটিংয়ের তারিখও নাকি বারবার বদলানো হচ্ছে।
প্রযোজনা সংস্থার তরফে সোহমের নাম উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছিল, জিতু নাকি চাননি তিনি ছবিতে আরেক হিরো হিসেবে আসুক। এই প্রসঙ্গে জিতু জানালেন, তিনি নিজে সোহমের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোহমও নাকি তাঁকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক কথা হয়েছিল ঠিকই। তারপর তাঁর সঙ্গেও নাকি আর কোনও কথাই এগোয়নি।