এমনি এমনি কী আর একটানা ৪০ সপ্তাহ বাংলা সেরা হওয়া যায়? সেরার সিংহাসন ধরে রাখতে প্রতি মুহূর্তে প্রয়োজন চমক। আর কোনও এক জাদুমন্ত্রে সেই চমকটা খুঁজে আনে ‘মিঠাই’ নির্মাতারা। সদ্যই সিরিয়ালে আগমন ঘটেছে ওমি আগারওয়ালের। যে ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বাংলা টেলিভিশনের হার্টথ্রব নায়ক জন ভট্টাচার্যকে। যাঁকে শেষবার ‘রিমলি’র নায়ক হিসাবে দেখেছে দর্শক। তবে ফ্যানেরা পড়েছে মহা জ্বালায়! জনের এন্ট্রিতে শোরগোল মিঠাই ভক্তদের মধ্যে, কেউ কেউ তো প্রকাশ্যেই নিজেদের মনের অবস্থার কথা জানিয়ে কাতর আর্তি রাখছেন নির্মাতাদের কাছে। কী সেই আদুরে অভিযোগ? ‘আরে একটা লিমিট থাকে যতদিন যাচ্ছে একটা করে হ্যান্ডসাম ছেলে দিয়েই যাচ্ছেন ডিরেক্টর কাকু’। হ্যাঁ, একসঙ্গে একই ধারাবাহিকে এতো হ্যান্ডসাম নায়ককে দেখে মন উতলা মিঠাই-এর মহিলা ভক্তদের।
সিদ্ধার্থ ওরফে আদৃত রায় এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ, তবে এর পাশাপাশি মিঠাই ধারাবাহিকের ভিলেন থেকে পার্শ্ব চরিত্র কারুরই ফ্যান ফলোয়িং কম নয়। গল্পের ভিলেন সোম (ধ্রুব সরকার) হোক বা এসিপি রুদ্র (ফাহিম মির্জা), কিংবা শ্রীতমার বর রাতুল (উদয় প্রতাপ সিং) সকলেই এক সে বড় কর এক! কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন? কার রূপে মুগ্ধ হবেন? এই নিয়েই দোটানা ফ্যানেদের মনে। সেই টালমাটাল পরিস্থিতি আরও বেড়ে গেছে ওমির আগমনে।
একটা কথা তো মানতেই হবে ‘মিঠাই’ সিরিয়ালের কাস্টিং খুব মানানসই, হিরোর পাশাপাশি বেশিরভাগ সহ-অভিনেতাই এর আগে কোনও না কোনও ধারাবাহিকে লিড রোলে অভিনয় করেছেন। তাই তাঁদের নিজস্ব একটা ফ্যান ফলোয়িং আগে থেকেই রয়েছে। সিদ্ধার্থ, সোম, রুদ্র, রাতুল আর এখন ওমি- কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন?
এর আগে ‘রিমলি’র পাশাপাশি ‘নজর’, ‘নাগলীলা’র মতো সিরিয়ালে হিরোর চরিত্রে দেখা গিয়েছে জনকে। দেবের ‘গোলন্দাজ’ ছবিতেও অভিনয় করেছে জন।
গত সপ্তাহে মিঠাই-এর টিআরপি কিছুটা কমায় চিন্তায় ছিল ভক্তরা। তবে জনের আগমনে সব চিন্তা গায়েব। নতুন টুইস্টে চড়চড়িয়ে বাড়বে মিঠাইরানির টিআরপি তা নিয়ে সন্দেহ নেই, তবে এই রূপের আগুন থেকে ভক্তদের বাঁচাবে কে? গোপাল ‘হেলেপ পিলিজ’, মন্ত্র জপছে অনুরাগীরা।