ফের বিস্ফোরক কঙ্গনা রানাওয়ত। এবার কঙ্গনার নিশানায় সেইসব বলি তারকারা যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। অভিনেত্রীর অভিযোগ দেশে ঘটে যাওয়া অন্যায়-অবিচার নিয়ে লোকের মাথ্যবাথ্য নেই অথচ সাত সমুদ্র পারে মিনেসোটায় ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনায় বুক ফাটছে তাঁদের।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া,করিনা কাপুর খানের মতো বহু তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্মীর হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লডেয়ের বর্বরোচিত হত্যার ঘটনায়। যে ঘটনার জেরে গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তাল মার্কিন মুলুক। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা বিশ্ব।
পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কঙ্গনা জানান,'সাধু হত্যার ঘটনা ঘটেছে কয়েক সপ্তাহ আগে,তখন কেউ একটা কথাও বলেনি।সেটা মহারাষ্ট্রে ঘটেছে,যেখানে প্রায় সমস্ত বলিউড তারকার বসবাস!আসলে নামটাই তো হলিউডের থেকে ধার করা,এটা লজ্জাজনক যে তাঁরা (বলিউড সেলেবরা) বুদবুদ হয়েই বাঁচতে ভালোবাসে এবং দু মিনিটের জনপ্রিয়তা পাওয়াটা তাঁদের কাছে এতটাই জরুরি যে বৃহত্তর দলে ভিড়ে যায়। কিন্তু সেই জনপ্রিয়তার গাড়ির স্ট্রিয়ারিংটা দিয়ে রাখতে শ্বেতাঙ্গদের হাতে, বোধহয় স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ঔপনিবেশিক গোলামিটা জিনে রয়ে গিয়েছে'।
তবে শুধু কঙ্গনা একা নন এই বিষয়ে সরব হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। রাজনীতিক তথা জম্মু-কাশ্মিরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইট করেন.. ‘সত্যিই সাহস লাগে নিজের কাপুরুষতাটা সামনে আনতে আমেরিকানদের জীবন দামি এটা টুইট করে,যেখানে ভারতীয়দের দামি জীবন নিয়ে কেউ টুইট করে না’।
কঙ্গনা একহাত নেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ নিয়ে লাফালাফি করা তারকাদের। তিনি বলেন,'পরিবেশের ক্ষেত্রে আপনি দেখবেন একজন শ্বেতাঙ্গ কিশোরীর কাজ নিয়ে ওরা চিত্কার করবে,অথচ আমাদের দেশে কত মানুষ,কত বয়স্ক,কত কিশোর-কিশোরী পরিবেশরক্ষার জন্য অসম্ভব ভালো কাজ করছে।তাঁদের মধ্যে অনেকেই পদ্মশ্রী সম্মানও পেয়েছেন।আমি তাঁদের কাহিনি দেখে অবাক হয়ে যাই,কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি থেকে ওঁরা এই ধরণের কোনও কৃতজ্ঞতা স্বীকার পায় না। হয়ত সাধু কিংবা আদিবাসী মানুষরা বলিউড তারকাদের কাছে বা তাঁদের ফলোয়ারদের জন্য ফ্যান্সি হন।
সিএএ নিয়ে বলিউডের প্রতিবাদের বিরুদ্ধেও এর আগে গর্জে উঠেছেন কঙ্গনা।সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীতা করেছেন সেসব তারকারা কঙ্গনার কথায় তাঁরা ‘অদক্ষ,কাপুরষ এবং মেরুদন্ডহীন’।