‘আমাকে বিয়ে করবে?’ 'হাবলি' পুতুল এবার বউ সাজবে! নয়া টুইস্ট কার কাছে কই মনের কথায়

Kar Kache Koi Moner Kotha Update: শিমুলের কোর্ট কেসের মাঝেই নতুন টুইস্ট! পুতুলকে বিয়ের প্রস্তাব দিল তীর্থ।

কার কাছে কই মনের কথায় বিয়ের সানাই! 

নতুন বছরের শুরুতেই ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে এন্ট্রি নিয়েছিলেন অভিনেতা রাজা ঘোষ। শিমুলের ‘হাবলি’ ননদ পুতুল অর্থাৎ শ্রীতমার বিপরীতেই দেখা যাবে তাঁকে, সেই ইঙ্গিত মিলেছিল শুরুতেই। জল্পনা মিলিয়ে পুতুলকে বিয়ের প্রস্তাব দিল ‘স্যার’।

মাঝে বেশ কয়েকদিন সিরিয়ালে দেখা মেলেনি রাজার। তবে এবার ধামাকা এন্ট্রি তাঁর। অসুস্থ পুতুলকে দেখতে এসে সকলের সামনেই বিয়ের প্রস্তাব দেবে সে। পুতুলের মা-কে রাজা সরাসরি জানাবে, ‘আপনার মেয়েকে আমি বিয়ে করতে চাই’। যা শুনে হতবাক মধুবালা দেবী। নিজের ভাইয়েরাই যেখানে পুতুলকে সহ্য করতে পারে না, তাঁর চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে রাজি হয় না, সেখানে তাঁর ‘হাবলি’ মেয়েকে সসম্মানে বাড়ির বউ করতে চাইছে তীর্থঙ্কর।

বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে হতবাক পুতুল। তাঁকে সত্যিই তীর্থ বিয়ে করবে সেটা সে বিশ্বাসই করতে পারছে না। অন্যদিকে মেয়ের বিয়ে হবে ভেবেই চোখে জল শিমুলের প্রাক্তন শাশুড়ি মা-র। 

 শুরু থেকেই তীর্থকে কটূক্তি আর লাঞ্চনা সহ্য় করতে হয়েছে পরাগ, প্রতীক্ষা,পলাশের তরফে। একটা সময় তীর্থর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রতীক্ষার। আগেও সেই নিয়ে প্রতীক্ষাকে হুমকি দিয়েছে সে। এবার প্রতীক্ষাকে জব্দ করতে সব প্রমাণ সঙ্গে নিয়ে এসেছে এমনটা জানায় তীর্থ। তবে এটাও বলে, ‘আমি কারুর সংসার ভাঙতে চাই না’। তীর্থর কথায় বউকে নিয়ে অল্প হলেও সন্দেহ জন্মায় পলাশের মনে। যা দেখে সন্তুষ্ট দর্শক। 

এই মেগার শুরু থেকেই ‘জল নুপূর’-এর পারি পাগলি অর্থাৎ অপরাজিতা আঢ্য অভিনীত চরিত্রের সঙ্গে তুলনা টানা হয়েছে পুতুলের। সেখানেও পারির নায়ক ছিল তাঁর স্যার। যে চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপধ্যায়। দুজনে বিয়ের পর সুখে সংসারও করেছিলেন, এবার কার কাছে কই মনের কথা-তেও পুতুল আর তীর্থর বিয়ের ট্র্যাক আসতে চলেছে। 

শেষবার ‘আদরের বোন’ মেগায় দেখা গিয়েছে রাজাকে। সান বাংলার এই মেগায় লিড রোলে অভিনয় করতেন রাজা। এছাড়াও কনক কাঁকন, বেনে বউ-এর মতো মেগায় লিড রোলে তাঁকে দেখেছে দর্শক। এই মেগায় যোগ দেওয়ার পর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ‘মানালি আমার অনেক দিনের বন্ধু। তবে প্রথম ওর সঙ্গে কাজ করলাম। আলাপ বহুদিনের, ২০১৩-১৪ সালে যখন রাঙা মাথায় চিরুনি করতাম, সেইসময় থেকে আলাপ। মানালি তখন সখী করত। যোগাযোগ ছিল নিয়মিত, কাজ এই প্রথম। শ্রীতমা (পুতুল)-র সঙ্গে আমার সেটেই আলাপ, তবে খুব ভালো অভিনেত্রী ও। শুধু মানালি বা শ্রীতমা নয়, টিমের সকলেই দুর্দান্ত অভিনেতা। রীতাদির মতো সিনিয়র রয়েছেন, ভালো লাগছে’।