বহু বিতর্কের পরেও সইফ-করিনা তৈমুরের নাম বদলাতে রাজি ছিলেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈমুর নাম নিয়ে কম কটাক্ষের মুখে পড়েননি তারকা দম্পতি, সইফ একটা সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছিলেন, কিন্তু রুখে দাঁড়ান করিনা। নবাব বেগমের সাফ বক্তব্য ছিল, ‘ছেলের নাম তৈমুরই থাকুক’। কিন্তু জানেন কি করিনার নিজের নাম বদল হয়েছিল! জন্মের পর নায়িকার ঠাকুরদা, শোম্যান রাজ কাপুর তাঁর নাম রেখেছিলেন সিদ্ধিমা। অন্যদিকে করিনার ডাকনাম ‘বেবো’ বাবা রণধীরের দেওয়া।
১৯৮০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্ম করিনার। গণপতি উত্সবের সময় জন্মেছিলেন রণধীর-ববিতার ছোট মেয়ে। আর করিনার জন্মের মাত্র ৬ দিন আগেই জন্ম, নীতু কাপুর ও ঋষি কাপুরের কন্যার। সেই সময় প্রকাশিত বহু প্রতিবেদন ঘেঁটে জানা যায়, রাজ কাপুর রিদ্ধি ও সিদ্ধির (গণপতির দুই স্ত্রী) নাম থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দুই নাতনির নাম রেখেছিলেন রিদ্ধিমা ও সিদ্ধিমা।
নীতু কাপুর শ্বশুরের ইচ্ছা মেনে মেয়ের এই নামে মঞ্জুরি দেন। তাঁর প্রথম সন্তান অর্থাত্ রণবীর কাপুরের দিদির নাম রিদ্ধিমা সাহানি কাপুর। কিন্তু বাড়ির বড় বৌ ববিতার পছন্দ ছিল না এই নাম। তাই তিনি এই নাম পালটে করে দেন করিনা। জানা যায়, করিনার জন্মের আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় লিও টলস্টয়ের লেখা বই ‘আন্না কারেনিনা’ পড়ছিলেন ববিতা। সেই থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই ছোট মেয়ের নাম তিনি রাখেন করিনা।
অন্যদিকে করিনার বাবা রণধীর কাপুরের দেওয়া ‘বেবো’ নামটি। বড় মেয়ে করিশ্মার ডাকনাম ‘লোলো’র সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে দেওয়া এই নাম। এই প্রসঙ্গে করিনা একবার বলেছিলেন, ‘আমার বাবা ছন্দ মিলিয়ে দুই বোনের ডাকনাম দিয়েছিল। তেমন কোনও অর্থ নেই বেবো নামের। লোলো হচ্ছে ললি থেকে আসা। সিন্ধি ভাষায় মিষ্টি লোলি (রুটি), আর সেটা থেকেই আমার নাম বেবো’।
গত মাসেই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন করিনা। এখনও পর্যন্ত সদ্যজাতের নাম বা ঝলক সামনে আনেননি সইফিনা। অধীর আগ্রহে অভিনেত্রীর দ্বিতীয় সন্তানের নাম জানার অপেক্ষায় ভক্তরা।