২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘হ্যাঁ ম্যায়নে ভি পেয়ার কিয়া’। অভিষেক বচ্চন ও করিশ্মা কাপুর অভিনীত এই ছবিটি বক্স অফিসে বিশেষ সাফল্যের পায়নি। সেই ছবি মুক্তির পর ২১ বছর কেটে গিয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ছবির পরিচালক ধর্মেশ দর্শন বলছেন ওই ছবি বানানো তাঁর ঠিক হয়নি। কিন্তু কেন এমন বলছেন ধর্মেশ?
সম্প্রতি ‘লেহরেন রেট্রো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক ধর্মেশ দর্শন জানান, ‘হ্যাঁ ম্যায়নে ভি পেয়ার কিয়া’ ছবিটির শ্যুটিং যখন শুরু হয়েছিল তার ঠিক আগে আগেই অভিষেক-করিশ্মার বাগদান ভেঙে যায়। যার প্রভাব ছবির শ্য়ুটিংয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন পরিচালক ধর্মেশ। ধর্মেশ জানিয়েছিলেন, ‘সেই প্রথম এবং শেষবারের জন্য একসঙ্গে কাজ করেছিলেন অভিষেক ও কারিশ্মা। তারপর তাঁরা আর একসঙ্গে কাজ করেননি। অভিষেক ভালো মানুষ, আর রাজা হিন্দুস্তানির সময় আমি যে লোলো(করিশ্মা)কে দেখেছিলাম, হ্যাঁ ম্যায়নে ভি পেয়ার কিয়া-র শ্যুটিংয়ে সেই মেয়েকে আমি পাইনি।’ প্রসঙ্গত, ধর্মেশ পরিচালিত আমির-করিশ্মার ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ ছিল ব্লকবাস্টার।
আরও পড়ুন-৪কোটির ল্যাম্বরগিনি কিনে ইসকনে গিয়ে পুজো করালেন, ট্রোলিংয়ের মুখে শ্রদ্ধা
আরও পড়ুন-স্বামী ও ছেলেকে পাশে নিয়ে সিঁদুর খেলা, মল্লিক বাড়ির বিজয়ার নানান মুহূর্তে কোয়েল
ধর্মেশ দর্শন বলেন, ‘হ্যাঁ ম্যায়নে ভি পেয়ার কিয়া=র শ্যুটিংয়ের সময় করিশমা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন নিজের বিয়ের বিষয় নিয়ে, যার প্রভাব ছবিতেও পড়ে। আমি তো আর কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নই, যে ওঁদের সম্পর্কের মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারব। আমি উভয়ের কথা-ই শুনছিলাম, নিজের জায়গায় সৎ থেকেছি। আর ওদের লক্ষ্য করেছি…।’
সেসময় অভিষক- করিশ্মার সম্পর্ক ঠিক কেমন ছিল? তাঁরা কি সত্যিই একে অপরের জন্য তৈরি ছিলেন? একথায় পরিচালক ধর্মেশ বলেন, ‘তাঁরা আসলে একে অপরের জন্য তৈরি ছিলেন না। ওদের নিরন্তর ঝগড়া হত... হয়তো এভাবেই কিছু মানুষ তৈরি হয়। আমি ভাবতাম ওঁরা কি সত্যিই একে অপরের জন্য তৈরি? অভিষেক একজন মিষ্টি সহকর্মী আর লোলো (করিশ্মা) একজন খুব সুন্দর ব্যক্তি। তবে কখনও কখনও সবকিছু সবার ভাগ্যে থাকে না।’
প্রসঙ্গত, একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর অভিষের পরবর্তী সময়ে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে বিয়ে করেন। অন্যদিকে করিশ্মা বিয়ে করেন সঞ্জয় কাপুরকে। যদিও করিশ্মার এই বিয়েও টেকেনি।