দেবলীনার মতোই আত্মহত্যার চেষ্টা করে বসল গুনগুন! বকা খেয়ে জ্যাঠাইয়ের ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিল সে? এই প্রশ্নে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। কেন বার বার আত্মহননের কথা এবং দৃশ্য তুলে ধরা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছে তাঁরা। তবে অবশেষে স্বস্তিতে ‘খড়কুটো’র ভক্তরা। না জ্যাঠাইয়ের ঘুমের ওষুধ খেয়ে কোনওরকম অঘটন ঘটানোর চেষ্টা গুনগুন করেনি, শুধু একটু ‘নাটক’ করছিল।
সোমবারের এপিসোডেই আচমকা জানা গিয়েছে জ্যাঠাইয়ের এক মেয়ে রয়েছে, মুনিয়া। তবে পরিবারের কেউই আজ পর্যন্ত তার কোনও উল্লেখ করেনি। পুটুপিসির সঙ্গে বড়মা এবং জ্যাঠাইয়ের কথোপকথন শুনে ফেলে গুনগুন। এবং কৌতুহলবশত পালটা প্রশ্ন করে গুনগুন।এর জেরেই জ্যাঠাইয়ের কাছে মারাত্মক বকা খেতে হয় গুনগুনকে। এরপর কাঁদতে কাঁদতে গুনগুন বলে, ‘চলে যাব আমি, আর কখখোনো তোমাদের বিরক্ত করব না’। তারপর থেকে খোঁজ নেই গুনগুনের। গোটা বাড়ি হুলুস্থুল কাণ্ড, এরমাঝেই দেখা মিলল ঘুমের ওষুধের শিশি হাতে নিয়ে বেঞ্চে অচৈতন্য অবস্থায় শুয়ে রয়েছে গুনগুন।
বুধবারের এপিসোডে দেখা যাবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গুনগুন ঘুম থেকে উঠে খানিকটা আকাশ থেকে পড়ার ভান করে বলবে সে কেবল একটাই ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। তবে ভয়ে,চিন্তায় সৌজন্য গুনগুনকে প্রমিস করে বসে ‘আমি আর কোনওদিন তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করব না’। অন্যদিকে টেনশনে পড়ে হাতজোড় করে ক্ষমা চায় জ্যাঠাই। বলে কোনওদিন গুনগুনকে বকবেন না তিনি।
সবশেষে গুনগুন স্বীকার করে নেয়, ‘আরে আমি তো একটাই স্লিপিং পিলস খেয়েছিলাম। তারপর দেখলাম তোমার (জ্যাঠাই) ঘরে একটা খালি স্লিপিং পিলস-এর বোতল রয়েছে। ওটা হাতে নিয়ে আমি কেবল নাটক করছিলাম’।
সুতরাং ফ্যানেদের বিশ্বাস ধরে রাখল গুনগুন, আত্মহত্যার চেষ্টা সে কোনওভাবেই করেনি, শুধু একটু নাটক করছিল মাত্র। একথা বলাই যায়, গুনগুনের ভক্তরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচল ভক্তরা!