বুধবার ছিল কেকে-র ৫৫ তম জন্মবার্ষিকী। শহর কলকাতারই এক কনসার্টের শেষে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান গায়ক। সেই দিনটা এখনও ভুলতে পারেননি মানুষ। কেকে-র জন্মদিনে তাঁর না থাকার কষ্টটা আরও প্রকট হয়ে ধরা দিল পরিবার, বন্ধু ও অনুরাগীদের কাছে।
বাবার জন্মবার্ষিকীতে সমাজমাধ্যমকে কেকে-কন্যা তামারা লিখলেন, ‘বাবা তোমায় কতটা ভালোবাসি তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। প্রতি মুহূর্তে তোমার অভাব বোধ হয়। যদিও তুমি আমার স্বপ্নে আসো। এটাই বড় প্রাপ্তি। আশা করি আবার কোনওদিন একসঙ্গে বসে কেক খেতে পারব আমরা।’ আরও পড়ুন: বড় চমক! টিআরপি সেরা অনুরাগের ছোঁয়া, দ্বিতীয় স্থানও হাতছাড়া জগদ্ধাত্রীর?
২০২২ সালের ৩১ মে কলকাতায় কনসার্ট করতে এসে মারা যান কেকে। দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পারফর্ম করার পর, কেকে অসুস্থ বোধ করেন এবং তাঁর হোটেলে পৌঁছানোর আগে গাড়িতেই সব শেষ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রয়াত ঘোষণা করেন। যেই লোকটা কয়েকঘণ্টা আগেই হাজার-হাজার মানুষকে ভাসিয়েছিল সুরের মূর্ছনায়, সেই লোকটাই অকালে চলে যায় না ফেরার দুনিয়ায়। 'তড়াপ তড়াপ', 'ইয়াদ আয়েঙ্গে ওহ পাল', 'আঁখো মে তেরি'-র মতো হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি শ্রোতা-দর্শকদের। আরও পড়ুন: মেষ থেকে মীন, হিন্দু পুরাণ বলছে শিবের অত্যন্ত প্রিয় এই ৪ রাশি, কখনও হয় না অর্থাভাব
এর আগের বছর বাবার জন্মদিনে তামারা লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন বাবা। আজ তোমাকে আর ৫০০ বার শুভেচ্ছা জানানো হবে না। ঘুম থেকে উঠে তোমার সঙ্গে কেক খাওয়া মিস করছি। আশা করি তুমি যেখানে আছো সেখানে যতটা ইচ্ছে কেক খেতে পারছ। চিন্তা করো না, আজ মাকে একটুও কষ্ট পেতে দেব না। আমরাও ওঁকে বিরক্ত করে কষ্ট দেব না। আশা করি তুমি আজ রাতে আমাদের গান শুনতে পাবে বাবা। এই দিনটা শুধুই তোমার জন্য।’ আরও পড়ুন: বৃহন্নলা নওয়াজের রণংদেহি রূপ, একের পর এক খুন! মুক্তি পেল ‘হাড্ডি’-র ট্রেলার
কেকে এবং জ্যোতি বিয়ে করেন ১৯৯১ সালে। তাঁদের দুই সন্তান, নকুল এবং তামারা। বাবার মতো দুই ভাই-বোনের গলাতেই রয়েছে সরস্বতীর আশীর্বাদ। ২০২২ সালের ফ্রেন্ডশিপ ডে-র দিন কেকে-এর জনপ্রিয় গান ‘ইয়ারো’ রিক্রিয়েট করেছিল নকুল আর তামারা। যেই ভিডিয়োতে যোগ দিয়েছিলেন কেকে-এর পুরনো বন্ধু লেসলি লুইস, শান, পাপন এবং ধ্বানী ভানুশালী।