বলিউডের অন্যতম মিষ্টি জুটি সোহা আলি খান এবং কুণাল খেমু। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। পতৌদির নবাব পরিবারের মেয়ে সোহা, লন্ডন থেকে পড়াশোনা করেছেন- সব মিলিয়ে দুজনের স্টেটাসে ফারাক বিস্তর।দুজনের ধর্মও আলাদা। তবুও তাঁদের প্রেম সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি কোনও কিছুই। তাই বলে কী ঝগড়া হয় না দুজনের মধ্যে? নিশ্চয় হয়। আর সেই ঝগড়ায় কেন মহাবিপদে পড়তে হয় কুণালকে তা একবার ব্যাখা করেছিলেন অভিনেতা। কপিল শর্মার শোয়ে এসে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলবার সময় কুণাল অকপটে মেনে নিয়েছিলেন লন্ডনে ইংরাজি শেখা স্ত্রী ঝগড়া করলে তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়। কারণ সোহা কেবল ইংরাজিতেই ঝগড়া করেন। অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি সোহা একজন সুদক্ষ লেখিকাও। তাই ইংরাজির থেকে এমন সব কঠিন শব্দ চয়ণ করে সোহা ঝগড়া করেন যে তা ‘পাতি হিন্দিভাষী’ কুণালকে মুশকিলে ফেলে দেয়।
এই ভিডিয়োয় পরিচিত মেজাজে কপিল শর্মা, অতিথি কুণালকে প্রশ্ন করেন- ‘সোহা ম্যামের ইংরাজি বোঝার জন্য আপনি কি বাড়িতে কোনও ডিকশানারি রেখেছেন?’ কুণাল জবাব দেন- যখন আমি ওকে ডেট করছিলাম একদিন রাতে আমাদের ঝগড়া হচ্ছিল। ও অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা করেছে। ওর ইংরাজি তুখোড় আর আমি এখানে পড়াশোনা করা ছেলে, আমার ইংরাজিও তেমন। আমরা যখন ঝগড় করি- আমি হিন্দিতে করি, ও ইংরাজিতে করে। ঝগড়ার মাঝে সেদিন এমন একটা শব্দ ও আমায় বলল যে আমি তার মানে বুঝতে পারিনি। কী আর করব- বললাম দাঁড়াও বাথরুমে যাচ্ছি, সেখানে গিয়ে ওই শব্দটার মানে জানতে গুগল করলাম। তারপর দেখলাম না ঠিক আছে। এটা ব্যবহার করা যাবে। এরপর ফিরে এসে আবার ঝগড়া চলল। তবে হ্যাঁ, সোহার জন্য আমার ইংরাজির শব্দভান্ডার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে'।
২০০৯ সালে ডুনডতে রহ যাওগে ছবির সেটে প্রথম আলাপ দুজনের। যদিও শ্যুটিং চলাকালীন নাকি একেবারেই একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন না কুণাল-সোহা। তবে পরের ছবি ৯৯-এ কাজ করার সময় নিবিড় বন্ধুত্ব করে ওঠে দুজনের। এরপর প্রেম, প্যারিসে সোহাকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন কুণাল। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ের পর্ব সারেন এই জুটি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জন্ম নেয় তাঁদের একমাত্র সন্তান ইনায়া নওমি খেমু।