ভোর তখন ৫টা, রবিবার ছুটির দিনে গোটা শহর ঘুমোচ্ছে। ঠিক তখনই সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে শোনা যায় গুলির আওয়াজ। ফাঁস হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বাইকে করে আসা দুই ব্যক্তিকে। তাঁরাই সলমনের বাড়ির বাইরে ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তার একটা গুলি গিয়ে লাগে সোজা সালমানের বাড়ির দেয়ালে। পুলিশ সূত্রে খবর এই দুই ব্যক্তিই অজ্ঞাত পরিচয়।
এদিকে ANI সূত্রে খবর, এই ঘটনার পরপরই সলমন খানের সঙ্গে ফোনে নিজে কথা বলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তাঁর নিরাপত্তা নিয়েই কথা হয় দুজনের এরপর শিন্ডে মহারাষ্ট্রে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও খবর। মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী ফোনে পুলিশ কমিশনারকে সলমনের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে সলমন খানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করছে মুম্বইয়ের বান্দ্রা পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে। অভিযুক্তদের ধরতে একাধিক দলও গঠন করা হয়েছে বলে খবর। মুম্বাই পুলিশের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে সময় সুপারস্টারের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, তখন সলমন তাঁর নিজের বাড়িতেই ছিলেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই ক্রাইম ব্রাঞ্চ, মুম্বই পুলিশের ফরেনসিক দল, ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞদের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাঁরাই সলমনের বাড়ির দেওয়ালে বুলের চিহ্ন আবিষ্কার করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)-র তরফে জানানো হয়োছিল যে, মিস্টার খান ১০টি গ্যাংঙের নজরে শীর্ষ তালিকায় রয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর নামও রয়েছে। ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসায়র হরিণ শিকারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সলমনের। তারপর থেকেই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের বিষ নজরে চলে আসেন সলমন। লরেন্স বিষ্ণোই নিজেই স্বীকার করেছিলেন সলমন খানকে প্রাণে মারাই তাদের লক্ষ্য। তার জন্য শার্প শ্যুটার ভাড়া করেছিলেন ওই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। লরেন্স যদিও আপাতত জেলে।
তবে তাঁকে বিষ্ণোইকে বলতে শোনা গিয়েছিল তার বন্ধু, সম্পাত নেহরা, মিস্টার খানের বান্দ্রার বাড়িতে নজরদারি চালাচ্ছিল। সলমনকে প্রাণে মারার জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতির অপেক্ষায় রয়েছে সে। তবে এরপর হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ে যায় নেহরাও। আপাতত সেও কারাগারে। তবে তারপরও সলমনের উপর হামলা আর বন্ধ হচ্ছে না।