দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেল জওয়ান। আর এটা কেবল ছবি নয়, লোকসভা ভোটের আগে অনেক কিছুই যেন শিখিয়ে দিল। কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে সরকারের একাধিক দুর্বল দিক তুলে ধরল। দায়িত্ববান নাগরিকের মতো ভোট কী করে দেওয়া উচিত সেটাও শিখিয়েছে এই সিনেমা। ফলে কেবল বিনোদন নয়, তার থেকে অনেক বেশি কিছু এই ছবি। এবার সেই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রর ফ্যান পেজ কলম ধরল।
মহুয়া মৈত্রর ফ্যান পেজের তরফে এদিন টুইট করা হয় জওয়ান ছবিটি নিয়ে। সেই টুইটে এই ছবি কী কী শিখিয়েছে আমাদের, কোন দিক দিক তুলে ধরা হয়েছে জওয়ান ছবিতে সেটা রীতিমত পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জওয়ান আসতেই গদর ২-এর লসের সেঞ্চুরি, সিক্যুয়েল আসুক, লক্ষ্মীলাভের পর আশা SVF-র মহেন্দ্র সোনির
এদিন মহুয়া মৈত্র ফ্যান পেজের তরফে লেখা হয়, 'জওয়ান ছবিটি কেবল একটি ছবি নয়, ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের আগে এটা একটা বড় শিক্ষা। এই ছবিতে বর্তমান সরকারের একাধিক সমস্যার কথা দেখানো হয়েছে। প্রথমত এই সিনেমাতে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে সরকার তাঁর ধনী এবং ঘনিষ্ট বন্ধুদের ১৭ লাখ কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দিলেও গরীব কৃষকদের কয়েক হাজার টাকার জন্য নাকাল করে। দ্বিতীয়ত এই ছবিতে কাফিল কেস দেখানো হয়েছে। ২০১৭ সালে বিআরডি মেডিক্যালে ৭০টি শিশু অক্সিজেনের ঘাটতিতে যে মারা গিয়েছিল এবং সেই দায় যে ডক্টর কাফিলের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্যায় ভাবে সেটাও দেখানো হয়। তৃতীয়ত, ডিফেন্স স্ক্যাম নিয়েও কথা বলেছে এই ছবি। চতুর্থত, বিজেপি সরকার শাহরুখ খানের ছেলেকে যেভাবে মিথ্যে ড্রাগ কেসে ফাঁসিয়ে ছিল সেই প্রসঙ্গেও এখানে ডায়লগ আছে। বেটে কো হাত লাগানে সে পেহলে বাপ সে বাত কর সেই প্রসঙ্গেই বলা হয়েছে। এবং সবশেষে এই ছবি শিখিয়েছে যে মানুষ যেন সেই সব নেতাকে ভোট দেয় যাঁরা মানুষকে সুস্বাস্থ্য এবং সুশিক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবে। তাঁদের নয় যাঁরা ধর্মের নামে রাজনীতি করে।' পরিশেষে এই ফ্যান পেজের তরফে আরও লেখা হয় যে, 'এই ছবি বিজেপি সরকারের বিনিদ্র রাতের কারণ হবে।'
অনেকেই তাঁকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মতে জওয়ান কেবল একটা ছবি নয়। এটা সাম্প্রতিক সময়ের একটা সমস্যাকে তুলে ধরেছে।