১৫ ডিসেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সৌরভ দাস আর দর্শনা বণিক। দুজনের রূপকথার সফরের সাক্ষী ছিল গোটা শহর। তপসিয়ার অর্কিড ব্যাঙ্কোয়েট অ্যান্ড গার্ডেন ব্যাঙ্কোয়েটে বসে তাঁদের বিয়ের আসর। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা, তারকাদের মেলা ছিল সৌরভ-দর্শনার বিয়েতে। ছোট পর্দার জুটি নীত-তৃণা, ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে উষসী, ইশাদের নিয়ে জমে উঠেছিল অনুষ্ঠান। বিয়েতে ছিলেন সৌরভের কাছের বন্ধু, ব্যবসার সঙ্গী সব্যসাচীও। এসেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।
তবে সৌরভ-দর্শনার বিয়েতে হাজির থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু চিঠি পাঠিয়ে নব দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না তৃণমূল সুপ্রিমো।
মমতার থেকে আসা চিঠির ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন দর্শনা ইনস্টাগ্রামে। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘প্রিয় দর্শনা আর সৌরভ, তোমরা ১৫ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছ জেনে খুশি হলাম। নতুন জীবনের সূচনায় তোমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন জানাই। তোমাদের যৌথ জীবন সুখের হোক, এই শুভকামনা করি। ভালো থেকো। – তোমাদের মমতা।’
চিঠির ছবি শেয়ার করে দর্শনা ক্যাপশন দিলেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ @মমতা দিদি’।
বিয়েতে লাল টুকটুকে বেনারসি পরেছিলেন দর্শনা। অর্ডার দিয়ে বানিয়েছিলেন শাড়ি। যাতে ছিল রুপোর জড়ির কাজ। রুপোর জড়িতে চড়ানো হয়েছিল সোনার জল। সঙ্গে ছিল ম্যাচিং ব্লাউজ এবং গা ভর্তি সোনার গয়না। দু হাত ভরে মেহেন্দিও পরেছিলেন দর্শনা।
চমক ছিল সৌরভের সাজেও। সাদা পঞ্জাবি এবং ধুতি পরেছিলেন বরবেশে। সঙ্গে নিয়েছিলেন লাল জারদৌসি ওড়না।
সব হিন্দু রীতিনীতি মেনেই চার হাত এক হয়। পিঁড়িতে নয়, নিজের পায়েই সৌরভের চারদিকে ঘোরেন দর্শনা। এরপর বউয়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে টেনে দেন লজ্জাবস্ত্র সৌরভ।
অল্প হলেও সত্যি’র সময় থেকে শুরু সৌরভ-দর্শনার বন্ধুত্ব।‘গোলেমালে গোল’-এর সেটে সেই বন্ধুত্বে নতুন রং লাগে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে একে-অপরের কাছাকাছি আসেন। সেভাবে কখনোই প্রপোজ করেননি একে-অপরকে। একদিন নাকি সৌরভ হঠাৎ করেই ফোন করে বলেছিলেন, তোমার বাবার সঙ্গে কথা বলতে আসছি। তোমাকে বিয়ে করতে চাই। দুজনের কেউই চাননি লিভ ইনে যেতে। বরং, বিয়ে করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন এতদিন ধরে। আর ডিসেম্বরের কুয়াশা মাখা রাতে পূরণ হয়েছে সেই স্বপ্নই।