কঙ্গনা রানাওয়াতের ওটিটি রিয়েলিটি শো ‘লক আপ’ ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে সর্বত্র। নিখরচায় এই শো হাঁ করে গিলছে দর্শকরা। এই শো-এর অন্যতম চর্চিত প্রতিযোগী মন্দনা করিমি। ব্যক্তিগত জীবনের নানা রহস্য ফাঁস করে আগেই একাধিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মন্দনা। ফের বোমা ফাটালেন এই সুন্দরী। শো-এর অপর প্রতিযোগী পায়েল রোহাতগির সঙ্গে আলোচনার ফাঁকে নিজের জীবনের এক দুর্বিসহ অভিজ্ঞতার কথা জানান মন্দনা।
‘লক-আপ’-এর এই প্রতিযোগী জানান বাস্তব জীবনে ইরানের গিয়ে গ্রেফতার হতে হয়েছিল তাঁকে, এবং তাঁর চোখের সামনে বন্ধুদের উপর ঘটেছে পুলিশি অত্যাচার। তিনি বলেন, ‘আমি ইরানে পৌঁছেছিলাম বন্ধুর বোনের বিয়েতে। আমরা সবাই শোমালে ছিলাম, সেটা তেহরানের কাছের। যেমনটা আমরা এখানে লোনাভালাতে যাই বন্ধুদের সঙ্গে। ওখানকার একটা ভিলাতে আমরা গিয়েছিলাম, ওদের বাইক ছিল। আমি বাইক চালাতে ভালোবাসি, আমি বাইক নিয়ে এদিক-ওদিক করছিলাম এবং আচমকা অ্যাক্সিডেন্টের মুখে পড়ি’।
এরপর মন্দনা যোগ করেন, ‘আমার হাঁটুতে বাজেভাবে চোট লাগে, হাঁটু ভেঙে গিয়েছিল।আমি সার্জারি করাব এমন পরিস্থিতি, ভিতর থেকে আমার বন্ধুদের গল্প-গুজব কানে আসছিল। আমি অপারেশন থিয়েটারের বাইরে এলে সবাই খুব আনন্দ করবে। কিন্তু কেউ আমাদের দেখে ভেবেছিল আমরা নেশা করে রয়েছি। এরপর আচমকাই সেখানে পুলিশ এসে উপস্থিত হয় এবং আমাদের গ্রেফতার করে নেয়’।
এরপর মন্দনা জানান, তাঁর বন্ধুদের প্রত্যেককে ৮৫ ঘা করে চাবুক মারে পুলিশ, চোট থাকার কারণে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়নি মন্দনাকে। তবে বন্ধুদেরকে তাঁর চোখের সামনেই চাবুকের ঘা মারা হয়েছিল। এরপরই পাকাপাকিভাবে ইরান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মন্দনা। মন্দনার কথায়, যে দেশের আইন তাঁর নাগরিকদের সম্মান করে না, তিনি সেখানে থাকতে আগ্রহী নন।
জন্মসূত্রে ইরানীয় মন্দনা। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে মুম্বইতেই থাকেন মন্দনা। যদিও অভিনেত্রীর পুরো পরিবার এখনও ইরানের বাসিন্দা।