মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কিংবদন্তি অভিনেতা তথা পরিচালক রবীন্দ্র মহাজানির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। শুক্রবার পুনের তালেগাঁওর জারবিয়া সোসাইটির একটি তালাবন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে অভিনেতার পচাগলা দেহ। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। জানা গিয়েছে, গত আট মাস যাবত ওই ফ্ল্যাটেই ভাড়া ছিলেন রবীন্দ্র মহাজানি। হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা গশমীর মহাজানির বাবা তিনি।
পুলিশের ধারণা কমপক্ষে তিনদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে রবীন্দ্র মহাজানির। ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। জানা গিয়েছে শুক্রবার বিকালে তালেগাঁওর জারবিয়া সোসাইটির একাধিক সদস্য ওই তালাবন্ধ ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ আসার অভিযোগ জানায় পুলিশে। পুণের তালেগাঁও থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর রঞ্জিত সাওয়ান্ত স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি সেখানে হাজির হন। ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে অভিনেতার নিথর দেহ উদ্ধার হয়, শরীরে পচন ধরতে শুরু হয়েছিল। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছেন, ‘চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন কমপক্ষে তিনদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। আমরা মুম্বইয়ে ওঁনার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি’। জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্য়াটে একাই থাকতেন শিল্পী। কিন্তু কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলে তবেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ক'দিন ধরেই বাবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন গশমীর, শুক্রবারই পুণের এক বন্ধুকে ফোন করে বাবার ফ্ল্যাটে খোঁজ নিতে যেতে অনুরোধ করে সে।
আগে মুম্বইয়ের রাস্তায় ট্যাক্সি চালাতেন রবীন্দ্র মহাজানি। দু-চোখে ছিল অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন। নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি। ‘সাত হিন্দুস্তানি’তে পুলিশ ইন্সপেক্টরের ভূমিকায় দেখা যায়। এরপর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। মরাঠি ছবির জনপ্রিয় তারকা হলেও হিন্দি ও গুজরাতি ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। ‘মুম্বই চা ফৌজদার’, ‘কালাত নাকালাত’, ‘জুনঞ্জ’-সহ একাধিক কালজয়ী মরাঠি ছবির অংশ থেকেছেন তিনি। সম্প্রতি হিন্দি ছবি ‘পানিপথ’ (২০১৯)-এ উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় দেখা মিলেছিল তাঁর।