ইংরাজিতে একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘সোল সিস্টার’। নুসরত জাহান আর মিমি চক্রবর্তীকে দেখতে এই কথাই সবার প্রথম মাথায় আসে। তাঁদের ভাবনা-চিন্তা, ভালো-লাগা অনেকাংশেই এক। একে অপরকে ‘বোনুয়া’ বলে সম্মোধন করেন তাঁরা। অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে আসার জার্নিটাও একে অপরের হাত ধরেই পার করেছেন তাঁরা। তবে আচমকা হলটা কী?
মুখ ফুটে একটা কথাও একে অপরকে বললেননি এই দুই তারকা সাংসদ। তবে তাঁদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি বলছে অনেক না-বলা কথা। শনিবার রাতে মিমি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি মিম পোস্ট করেন, এরপরই নুসরত পরপর দুটি বক্তব্য রাখেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। আপাতদৃষ্টিতে দু’জনের এই ভার্চুয়াল বক্তব্য পরস্পর বিরোধী। মনে হতেই পারে অন্যকে কাউন্টার করে লেখা। মিমি পোস্টে বললেন, সততার কথা আর নুসরত টেনে আনলেন বন্ধুত্ব আর বিশ্বাসঘাতকতার কথা!
ঠিক কী লিখেছিলেন মিমি? ‘সমস্যাটা হল মানুষ সততার পথে থাকলে, সে সকলের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠে। আবার মিথ্যাচার করলে সকলের প্রিয় হয়’।
অন্যদিকে নুসরত কী লিখলেন? ‘কিছু মানুষ সামান্য স্পটলাইটের জন্য অবলীলায় দীর্ঘসময়ের বন্ধুকেও ঠকাতে পারে’। অন্য পোস্টে লিখলেন, জীবনে কে তোমার সামনে সততা দেখাল? সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কে তোমার অনুপস্থিতিতেও সততা দেখাবে, সেটাই আসল।
একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন নুসরত-মিমি। দুই নায়িকা নাকি ভালো বন্ধু হয় না, ইন্ডাস্ট্রির এই প্রচলিত মিথ ভেঙেছেন তাঁরা। যশ-নুসরতের সম্পর্ক নিয়ে যখন উত্তাল গোটা টলিগঞ্জ, তখনও মুখে কুলুপ মিমির। নুসরতের পাশাপাশি যশও মিমির ভালো বন্ধু। অন্যদিকে নিখিল জৈনের সঙ্গেও মিমির ইকুয়েশন পারফেক্ট।
নিছকই কাকতালীয় প্রায় একই সময়ে মিমি ও নুসরতের এই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট? কেনই বা সত্যি-মিথ্যে-বিশ্বাসঘাতকতা-বন্ধুত্ব টেনে এই বক্তব্য দুই নায়িকার? জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে টলিউডে।