একদিন আগেই তিনি রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এবার আবারও ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের সংসদের দুটো পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মিমি চক্রবর্তী। তিনি গতকাল নলমুড়ি এবং জিরানগাছা ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টার রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপারসন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এদিন তিনি লোকসভায় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগের চিঠি পাঠান। সরে দাঁড়ান সংসদের দুটি স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে। আবারও জোড়াল হচ্ছে চর্চা, তবে কি তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন?
মিমির পদত্যাগ
রাজনৈতিক মহল তো বটেই সাধারণ মানুষের মধ্যেও জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে তাঁর এই পরপর ইস্তফা দেওয়া নিয়ে। অনেকেই সন্দিহান হয়ে পড়েছেন যে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই তিনি কেন এভাবে পদত্যাগ করছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। উঠছে প্রশ্নও। প্রথমে নলমুড়ি এবং জিরানগাছা ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টার রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপারসন পরে সংসদের দুটো স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেন। এদিন তিনি তাঁর সেই ইস্তফা পত্রে লেখেন, '২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমার সাংসদ পদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে। আমাকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। চেয়ারপারসন হিসেবে নিয়েজর সদ্যই মতো রোগীদের তো বটেই, চিকিৎসক, নার্স সহ সকলের ভালো করার চেষ্টা করেছি।'
আরও পড়ুন: রুহ বাবা কার্তিকের মুখোমুখি জোড়া পেত্নী! বিদ্যার পর ভুল ভুলাইয়া ৩ -এ যুক্ত হলেন কোন অভিনেত্রী?
দেবের পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা
তবে মিমি একা নন। দেবও কিছুদিন আগে একাধিক পদে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ছবিও পোস্ট করে জানান সেটাই নাকি সংসদে তাঁর শেষ দিন। তবে রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই সিদ্ধান্ত বদলান তিনি। জানান তিনি ঘাটালের মানুষের জন্য পুনরায় ভোটে লড়বেন। দেবের কথায়, 'আমি রাজনীতি ছাড়তে চাইলেও, রাজনীতি আমায় ছাড়বে না।' এখন মিমি চক্রবর্তী শেষ পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।