চিনের পর করোনা সংক্রমণের কবলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপ। তা সত্ত্বেও ১৪ তারিখ বাজির শ্যুটিংয়ে লন্ডনে গিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু সরকারি নির্দেশে মাঝপথেই শ্যুটিং বাতিল করে দেশে ফিরতে হয় গোটা টিমকে। লন্ডনে পৌঁছে কেমনভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করেছেন মিমি? সেই অভিজ্ঞতাই নিজের নতুন ইউটিউব ভিডিয়োয় শেয়ার করে নিলেন এই টলি অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের সাংসদ। আপতত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মিমি। ঘরে বসেই সামলাচ্ছেন যাবতীয় কাজ। শনিবার মিমি জানালেন বারবার হাত ধোওয়া এবং মাস্ক পরা তো রয়েইছে তার বাইরেও বেশি নিয়ম লন্ডনে মেনে চলেছেন তিনি। শুধু নিজের হাতই নয় আশপাশের জিনিসও জীবাণুমুক্ত করতে জীবানুনাশকের ব্যবহার করেছেন তিনি। দরজার হাতল থেকে চেয়ার সবকিছুতেই জীবনানুশাক স্প্রে করে জীবানুমুক্ত করার চেষ্টা করেছেন মিমি চক্রবর্তী।
নিজেকে এবং আশপাশের জায়গা পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি নিজের ভিতরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাটাও কীভাবে বাড়াতে হবে সেকথা জানালেন মিমি। অভিনেত্রী জানালেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খান তিনি। পাশাপাশি আমলার রস পান করাও খুবই উপকারি বলে জানালেন মিমি চক্রবর্তী। সারা বছরই রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এইগুলো খেয়ে থাকেন মিমি। এছাড়াও তিনি খান দারুচিনির গুঁড়ো।
এছাড়াও এদিন নিজের স্পেশ্যাল গ্রিণ স্মুদির রহস্য ফাঁস করলেন মিমি। লেবু,আদা,পালং শাক,শসা,আপেল দিয়ে এই মিশ্রন তৈরি করেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি বিট-গাজরের রসও শরীরে পক্ষে উপকারি জানাতে ভোলেননি মিমি চক্রবর্তী।
দুদিন আগেও অপর একটি ভিডিয়ো বার্তায় মিমি জানিয়েছিলেন, এয়ারপোর্টে কোনও ভিভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাননি তিনি। সরকারের সব গাইডলাইন মেনেই সব কাজ করেছেন অভিনেত্রী।