সিদ্ধেশ্বর-সুষমা তরজা এখনও জারি। তাই মন্দির থেকে আনা প্রসাদের প্যারার 'একটু খানি' অংশ বরাদ্দ থেকে বাড়ির কর্তার জন্য। শরীরচর্চার প্রতি তার আকস্মিক ঝোঁক দেখেই এক প্রকার এই 'শাস্তি' দিয়েছে স্ত্রী।
সিদ্ধার্থ যদিও এত কিছু বুঝতে রাজি নয়। বাড়ির কর্তা-কর্ত্রীর বিবাদের জন্য মিঠাইকেই খানিক দায়ী করছে সে। সুষমার কথায় কেন সে সিদ্ধেশ্বরের পিছু নিতে রাজি হল, সেই কৈফিয়তও চেয়ে বসে স্ত্রীর থেকে। মিঠাইও বোঝায় সে কতটা নিরুপায়। জানায়, টেস অর্থাৎ তোর্সাই উস্কে দিয়েছে সুষমাকে। দাদু আদৌ শুধু মাত্র প্রাতঃভ্রমণের জন্যই এত উচ্ছ্বসিত কি না, জাগিয়ে দিয়েছে সেই প্রশ্ন। সিদ্ধার্থ যদিও কোনও যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের সম্মিলিত গোয়েন্দাগিরি যে দাদুর পক্ষে কতটা অসম্মানের, সে কথা বুঝিয়েছে মিঠাইকে।
অন্য দিকে, ললিতার মেয়ে অনুরাধার সঙ্গে সমরেশের সখ্য গড়ে উঠেছে। ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক, মোদক পরিবারে বৌমা মিঠাইয়ের অবদান- সমরেশের কথায় বারবার উঠে এসেছে এমনই নানা বিষয়। সিদ্ধার্থও কিছুক্ষণের জন্য অংশগ্রহণ করে সেই আলোচনায়।
এ দিকে ফের দাম্পত্য কলহের উত্তাপ। শ্রীনন্দার তৈরি টিফিন নিতে ভুলে গিয়েছে রাজীব। প্রথমে ভেবেছিল, নেহাতই বাইরের চপ-কাটলেট খেতেই বুঝি স্ত্রীর তৈরি খাবার বাড়িতে রেখে যাওয়া! কিন্তু গল্প সেখানেই শেষ নয়। রাজীবের অফিসে ফোন করে জানা যায়, লিজা নামের কোনও এক সহকর্মীর সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে গিয়েছে সে। ব্যস, সত্যের উদ্ঘাটন হতেই চটে আগুন শ্রীনন্দা।
বাড়ি ফিরে রাজীব বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ঠিকই। কিন্তু লাভ হল কথায়! বউয়ের বকুনিতে কুপোকাত সে। সিদ্ধার্থ যদিও জামাইবাবুর সঙ্গে পাশে দাঁড়ায়। সাহস পায় রাজীব। জানিয়ে দেয়, সে যা করেছে, বেশ করেছে! এর পরেই ঝগড়া আরও তুঙ্গে।
শেষমেশ কথায় গিয়ে এই কলহ মেটে, এখন সেটাই দেখার।