ঘোর বিপত্তির মুখোমুখি মিঠাই। তাঁর ‘ছোট্ট ভুলেই’ কি তবে ভেঙে যাবে মোদক পরিবারের। ‘স্টুপিডের মতো কাজ করে ফেললাম তো’, মনে মনে এখন একথাই আওড়ে যাচ্ছে তুফান মেল। গোপালের হেলেপ চাইছে সে, যাতে কোনওভাবেই মোদক বাড়ির ব্যবসা ভেঙে না যায়। কারণ এমনটা হলে নিজেকে সে কোনওভাবেই ক্ষমা করতে পারবে না।
দিনের অবিক্রিত মিষ্টি গরীব বাচ্চাদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হল মোদক পরিবারের তরফে, অথচ সোমের নির্দেশে সেই মিষ্টি পরদিনও বিক্রি হচ্ছে। বাসি মিষ্টি বিক্রির কথা ছদ্মবেশে ধরতে পেরে যায় মিঠাই। আর সেই নিয়েই শুরু সমস্যা। মিঠাই-এর মুখ থেকে বিষয়টা জানতে পেরে সোমের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেয় সমরেশ। এমনকি তাঁর স্পষ্ট কথা সোম যেন ব্যবসা আলাদা করে নেয় এবং মোদক বাড়ির নাম তাঁর বিজনেসে যোগ না করে। সমরেশের কথায় সোম খানিকটা থতমত খেলেও তোর্সা একবাক্যে রাজি। সে জানায়, ‘তবে তাই হোক, আমরা কাল থেকেই ব্যবসা আলাদা করে নেব’।
জা-এর মুখে এই কথা শুনে চমকে গেল মিঠাই। বড়দা পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে যাবে কোনওভাবেই চায় না সে, দাদুর হাতে গড়া ব্যবসা এইভাবে ভাগ হয়ে যাবে ভেবেই চোখে জল মিঠাইয়ের। সিদ্ধার্থও পুরো ব্যাপারটায় খুব আপসেট, এমনকি মিঠাইয়ের উপরও কিছুটা মনোক্ষুন্ন উচ্ছেবাবু।
সিদ্ধার্থের কথায়, আরেকটু ধৈর্য ধরে বিষয়টা সমাল দেওয়া যেত। পারিবারিক তিক্ততা আর যাতে না পারে তেমনটাই চায় সে। কিন্তু সমরেশ তো সোমের উপর বেজায় চটেছেন। সব মিলিয়ে ফের একবার নতুন মোড় মিঠাই-এর কাহিনিতে। তবে বউয়ের উপর রাগ যতই থাকুক না কেন, তোর্সার হাত থেকে মিঠাইকে বাঁচাবে সিদ্ধার্থ। শুক্রবারের এপিসোডে মিঠাইকে চড় মারতে যাবে তোর্সা, তখনই টেস বুড়ির হাত ধরে ফেলেবে সিদ্ধার্থ। সব মিলিয়ে এপিসোড জমে ক্ষীর!