দিনকয়েক ধরেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন নানা পাটেকর। যার পিছনে আছে একটা ভাইরাল ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে শটে ব্যস্ত থাকা নানা-র সঙ্গে ছবি তুলতে আসেন এক যুবক। আর সঙ্গে সঙ্গে মাথায় সপাটে চড় মেরে দেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
এর আগেই মুখ খুলেছেন ‘জার্নি’র পরিচালক অনিল শর্মা। তাঁর সঙ্গেই কাজ করছিলেন নানা। জানিয়েছিলেন, ‘আমি জানি না কী বলব! এটা আমার ছবির দৃশ্য। সিন অনুসারে ওই যুবক (জুনিয়ার আর্টিস্ট)-এর মাথায় চাঁটি মারার কথা নানার। সেটাই ঘটেছে। রাস্তায় লোক জনেরা ওই ভিডিয়ো ফোনে তুলে ভাইরাল করেছে। উনি খুব ভালো মানুষ’। আরও পড়ুন: ‘আরও অনেক কিছু আছে…’, বর রণবীর কি সত্যিই ‘টক্সিক’? কফি উইথ করণে জবাব আলিয়ার
তবে সম্প্রতি নানার টিমের তরফ থেকে যে দাবি করা হয়েছে তা কিন্তু খানিকটা আলাদাই। সেখানে বলা হয়, ‘একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে যেখানে আমি একটি ছেলেকে আঘাত করেছি। যদিও এই ক্রমটি আমাদের চলচ্চিত্রের একটি অংশ, আমাদের একটি মহড়া ছিল ... আমাদের দ্বিতীয় রিহার্সাল করার জন্য নির্ধারিত ছিল সময়টা। পরিচালক আমাকে শুরু করতে বলেছিলেন। আমরা শুরু করতে যাচ্ছিলাম যখন ভিডিয়োতে থাকা ছেলেটি চলে আসে।’ আরও পড়ুন: হিরো আলমের বদলা! এআর রহমান ‘নষ্ট’ করেছে কারার ওই লৌহ কপাট, এবার পালা জয় হো গানের
‘আমি জানতাম না সে কে, আমি ভেবেছিলাম সে আমাদের ক্রুদেরই একজন তাই আমি চড় মারলাম দৃশ্য অনুসারে। আর চলে যেতে বলি। পরে, আমি জানতে পারি যে সে ক্র-র অংশ নয়। তাই, আমি তাকে ডাকতেও যাচ্ছিলাম কিন্তু সে পালিয়ে যায়। সম্ভবত তার কোনও বন্ধু ভিডিয়োটি শুট করেছে। আমি ছবির জন্য কখনও কাউকে না বলিনি। আমি এটা করি না... ভুলবশত এমনটা হয়েছে... ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন... আমি কখনো এমন কিছু করব না জেনেবুঝে।’, আরও বলেন নানা।
নানা পাটেকরের এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সকলে কটাক্ষে ভরিয়ে তুলেছিলেন। কমেন্ট সেকশনে একজন লেখেন, ‘বাবা এসব আইডলরা দূর থেকেই ঠিক আছে। সামনে যাওয়ার দরকার নেই।’ আরেকজন লেখেন, ‘অন্তত ছবি তুলে দিয়ে একটা চড় মারতেন।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘খ্যাতি এদের মাথায় উঠিয়ে দিয়েছে মানুষের। ছেলের থেকেও ছোট একটা মানুষকে এভাবে কেউ মারে!’
তবে আশা রাখা যায়, এবার পুরো ঘটনা জেনে অন্তত মন গলবে দর্শকদের নানা পাটেকরের ওপর থেকে।