অভিনেত্রী হিসেবে বরাবরই চর্চায় থাকেন পল্লবী শর্মা। তাঁকে নিয়ে ট্রোলও কিছু কম হয় না। তা সে ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের জন্য হোক, বা সদ্য শুরু হওয়া ‘নিম ফুলের মধু’। সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুলেননি অভিনেত্রী।
নভেম্বরেই শুরু হয়েছে ‘নিম ফুলের মধু’। এখানে পল্লবীর চরিত্রের নাম পর্ণা। এক আধুনিকমনস্ক মেয়ে খুব শখ করে বিয়ে করে যায় যৌথ পরিবারে। কিন্তু কদিনেই বুঝে যায় শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ি-ভাসুরদের মন জয় করতে গেলে তাঁকে নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছের সঙ্গে আপোস করতে হবে। কিন্তু মন মানে না পর্ণার। কোনও না কোনও বুদ্ধিতে নিজের মনেরটা করেই ফেলে। তা সে বাড়িতে পিকনিক হোক বা সরস্বতী পুজো কিংবা সংবাদপত্রে চাকরি।
ইতিমধ্যেই নিম ফুলের মধু নিয়ে ট্রোল শুরু হয়ে গিয়েছে। পর্ণার বাড়িতে সাবান বানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করা থেকে শুরু করে, সম্প্রতি ন্যাড়া হয়ে চুল বিক্রি করে শাশুড়িকে বালতি-গামলা কিনে দেওয়া। আরও পড়ুন: ‘মিথ্যে বলে জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল!’, ইমনের নামে আর কী অভিযোগ নীলাঞ্জনের?
সম্প্রতি পল্লবীকে প্রশ্ন করা হয়, কোনও দৃশ্যের অভিনয়ের সময় কী তাঁর মাথায় ঘোরে এটা নিয়ে পরে ট্রোল হতে পারে? যাতে জবাব আসে, ‘দর্শক মন দিয়ে আমার অভিনয় দেখছে বলেই তো ট্রোল করছে।’ আজকাল কম টিআরপি হলেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সিরিয়াল। ৪-৬ মাসে ধারাবাহিক বন্ধ হওয়ার দৃশ্যও চোখে পড়ছে। তিনি কি মানেন কম টিআরপি মানেই ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাবে? আরও পড়ুন: বইমেলায় কাছাকাছি এলেন সোহিনী-রণজয়! তবে কি জোড়া লাগল সম্পর্ক, কী বলছেন অভিনেতা?
পল্লবীর জবাব, ‘আমি শুধু আমার কাজটুকু করি। আমি মনে করি একটা সিরিয়াল হিট হওয়ার পিছনে গল্পের অবদান সব থেকে বেশি। দর্শক হয়তো আমায় দেখতে টিভিটা খুলছে, কিন্তু গল্পটাকে তো আকর্ষণীয় হতেই হবে। দর্শকের ভালো লাগতে হবে সেটা। নয়তো আমার মুখ চার-পাঁচদিন দেখে যখন একঘেয়ে হয়ে যাবে তখন অন্য চ্যানেলে চলে যাবে। এখন সবার হাতেই অনেক অপশন। রিমোটের একটা বোতাম টিপলেই ১০টা চ্যানেল। তাই ভালো না লাগলে তাঁরা কারও জন্য বসে সেই সিরিয়াল দেখবে না। এটা আমার কাছে আশীর্বাদ যে দর্শক আমার কে আপন কে পরের জবা চরিত্রটাকে বা নিম ফুলের মধুর পর্ণা চরিত্রটাকে এত পরিমাণ ভালোবাসা দিয়েছে।’
জানালেন আগের কাজ ‘কে আপন কে পর’-এর সময় দর্শকদের থেকে এত পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছেন যে টিআরপি নিয়ে কখনোই এত ভাবতেন না। এমনকী, এভাবে প্রতি সপ্তাহে টিআরপি তালিকায় চোখও রাখতেন না। পল্লবীর কথায়, ‘এখন আমরা অনেক বেশি টিআরপি নিয়ে মাথা ঘামাই, আগে এটা ছিল না। কখনও লিস্টই দেখতাম না। আমরা এখনও এই বিষয় ভাবি না। এটা চ্যানেলের ভাবনা কারণ এটা ব্যবসা।’