ছেলে-মেয়েকে বড় করতে মা-বাবার বলিদান কখনও বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দাদাগিরির মঞ্চে সম্প্রতি উঠে এল নিম ফুলের মধু অভিনেতা রুবেল দাসের জীবনের কঠিন অধ্যায়। যা শুধু রুবেল নয়, চোখ ভিজিয়ে দেয় সেটে উপস্থিত অনেকেরই।
চলতি সপ্তাহের শুক্রবার থেকেই জি বাংলায় শুরু হয়েছে দাদাগিরির ১০ নম্বর সিজন। আর শনিবার বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিল গোটা নিম ফুলের মধু-র টিম। শুরু থেকেই এই ধারাবাহিক হাই টিআরপি এনে দিয়েছে চ্যানেলকে।
সেখানেই রুবেলের জন্য একটি সারপ্রাইজ ভিডিয়ো চালান সৌরভ। যেখানে দেখা মেলে রুবেলের মা। প্রায় একা হতেই সংসার সামলেছেন তিনি। দুই ছেলে তাঁর। ছোট রুবেল। দুই সন্তান ছোট থাকতেই চাকরি চলে যায় রুবেলের বাবার। সেই সময় সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। মানুষ করেন দুই ছেলেকে। রুবেলের ডান্সার হওয়ার শখ ছিল। একসময় জিতে নেন ডান্স বংলা ডান্স। এরপর মুম্বই যান তিনি। মুম্বইয়ের খরচ চালাতে লোকের বাড়ি রান্না থেকে আয়ার কাজ, সবই করেন রুবেলের মা। সবসময় চেষ্টা করে গিয়েছেন ছোট ছেলের স্বপ্ন যেন পূরণ হয়।
মায়ের মুখে এই কথাগুলো শুনে চোখে জল আসে রুবেল দাসের। এরপর চমক দিয়ে মা কৃষ্ণা দাস পা রাখেন স্টেজে। এসে দাঁড়ান পোডিয়ামে থাকা রুবেলের পাশে। রুবেল বলেন, ‘মায়ের বলিদান বলে শেষ করতে পারব না। সব মায়েদেরই বলিদান থাকে। আমার মা একটু বেশিই করেছে। যেই সময় বাবার পাশে থাকার কথা ছিল, তখন পাইনি। মা যেভাবে আমাকে আর আমার দাদাকে মানুষ করেছে। দাদাও বাবার দায়িত্ব নিয়ে পাশে ছিল। সবসময় বলে গেছে, তুই যা স্বপ্ন পূরণ কর। মাও বলত, ছোটবেলা থেকে যেমন যা চেয়েছিস পেয়েছিস, পরেও পাবি। এসব ভাবিস না। তুই নিজের স্বপ্নপূরণ কর।’
রুবেলের ছোট পর্দায় প্রথম কাজ ভানুমতীর খেল। এরপর কাজ করেন বাঘ বন্দী খেলা-তে। তবে যমুনা ঢাকি সিরিয়াল তাঁকে নিয়ে যায় খ্যাতির শীর্ষে। শুধু তাই নয়, এখান থেকেই আলাপ বর্তমান প্রেমিকা শ্বেতার সঙ্গে। বর্তমানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে সৃজনের চরিত্রে।
কদিন আগে নিম ফুলের মধু-র শ্যুটিং করার সময়তে পায়ে পেয়েছিলেন গুরুতর চোট। ভেঙে গিয়েছিল দু পায়ের গোড়ালি। তবে সেইসব বাধা কাটিয়ে গত মাসেই ফিরেছেন সেটে। এদিনের এপিসোড জিতেও নেন তিনি সিরিয়ালের কোস্টার পর্ণা ওরফে পল্লবী শর্মার সঙ্গে।