সিরিয়ালে নায়িকা চরিত্রে না কাজ করলেও, নেটিজেনদের মন জয় করে নিয়েছেন নিম ফুলের মধু-র রুচিরা ওরফে সৌমি চক্রবর্তী। ধারাবাহিকে তাঁর প্রেম নিয়ে যতই চলুক গন্ডগোল, বাস্তবে কিন্তু চুটিয়ে করছেন প্রেম। তাও একেবারে খুল্লামখুল্লা। এতদিন ভালোবাসার মানুষকে ‘বন্ধু’র পরিচয়ই দিয়ে এসেছিলেন। তবে এবার মিষ্টি প্রেমের কথা তাঁর মুখে।
সৌমি সম্পর্কে আছেন পৃথ্বীশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সোশ্যাল মিডিয়া বায়ো-তে যিনি নিজের পরিচয় দিয়েছেন ভিডিয়ো ক্রিয়েটার, অভিনেতা হিসেবে। ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার্সের সংখ্যাও ২ লাখ ছুঁইছুঁই। বহুদিন ধরেই পৃথ্বীশের সঙ্গে রোম্যান্টিক রিল, ফোটো শেয়ার করে থাকেন। তবে প্রেমিকের জন্মদিনে প্রথম অফিসিয়াল করেছিলেন সম্পর্ক।
সৌমি মাসখানেক আগে লিখেছিলেন, ‘কিছু ছবি যেগুলো কোনদিন পোস্ট করার সুযোগ হয়নি… যাইহোক আজ সুযোগ পেলাম।’ সঙ্গে জুড়লেন, ‘আজ তোমার জন্মদিন। এরকম দিন বারবার ফিরে আসুক। খুব উপভোগ করো, ভগবান তোমার সহায় হোক। অনেক খুশি থাকো জীবনে আর ভালো মানুষ হও। কেরিয়ারে ভালো করে প্রতিষ্ঠিত হও। সবসময় আমি পাশে ছিলাম, আছি আর থাকব। অনেক ভালোবাসা।’
আর এবার দুজনকে দেখা গেল শাড়ি আর পঞ্জাবিতে। সৌমি পরে আছেন হলুদ রঙের ব্লাউজ আর ডিপ সবুজ রঙের শাড়ি। সৌমির শাড়ির সঙ্গে রং মিলিয়ে পঞ্জাবি পরেছেন পৃথ্বীশও। তোলা হয়েছে একটি মিরর সেলফি। আর ক্যাপশনে লেখা, ‘মিষ্টি প্রেম তো সেগুলোই যেখানে ভালোবাসার মানুষ এবং বেস্ট ফ্রেন্ড একজনই হয়।’
নেটপাড়া খুব পছন্দ করছে সৌমি-পৃথ্বীশের জুটিকে। কমেন্টে একজন লিখলেন, ‘যাক তাহলে মুখ ফুটে প্রেমের কথা স্বীকার করলে।’ আরেকজন লিখলেন, ‘তোমাদের কিরণদা আর আল্লুদির মতো লাগছে।’
নেটপাড়ার বড় একটা অংশ কিন্তু সৌমির নাচেরও ভক্ত। অভিনেত্রী ভিডিয়ো দিলেই তা নিমেষে ভাইরাল হয়। কমেন্টে আসে, ‘সৃজন (নিম ফুলের মধুর হিরো) তোমার এই নাচ দেখলে পর্ণা (নিম ফুলের মধুর নায়িকা, সৌমির চরিত্র রুচিরার বেস্ট ফ্রেন্ড)-কে ছেড়ে তোমার প্রেমেই পড়ে যেত।’
আপাতত নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে দত্ত বাড়ির দুর্গাপুজো। আর সেই উপলক্ষে কটা দিন দত্ত বাড়িতেই থাকছে রুচিরা। যদিও সৃজনের ভাই চয়নের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে পারিবারিক মতবিরোধের কারণে। বিশেষ করে চয়নের বাবা ও দাদা অপনাম করে রুচিরা ও তাঁর মা-বাবাকে। তাতেই সম্পর্ক ভেঙে দেয় সে। এদিকে চয়ন শুধু নয়, পর্ণাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কীভাবে নিজের প্রিয় বান্ধবীর ভালোবাসাকে পূর্ণতা দিয়ে তাকে দত্ত বাড়ির ছোট বউ করা যায়।