নুসরত-নিখিল-যশের চর্চিক ত্রিকোণ প্রেম কাহিনিতে এবার লেগে গিয়েছে রাজনীতির রঙও। নুসরতের সঙ্গে আপতত বেশ খানিকটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে নিখিলের। ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগার কোনও আভাস মিলছে না। কারণ ‘নতুন পথে’ এগিয়ে চলবার বার্তাই দিচ্ছেন নিখিল-নুসরত। গত দেড় মাসে ‘যশরত’-এর কাছাকাছি চলে আসার খবরও বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। এর মাঝেই বুধাবর বিজেপিতে যোগ দিতে সকলকে চমকে দিলেেন নুসরতের ‘বিশেষ বন্ধু’ যশ দাশগুপ্ত। রাজনীতির ময়দানে অন্তত বিপরীত মেরুতে অবস্থান এই চর্চিত প্রেমিক জুটির।
আর যশের বিজেপিতে যোগদানের দিনই ইনস্টাগ্রামে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা নিখিলের। বুধবার বিকালে যশের বিজেপিতে যোগদানের আগেই নিখিল ইনস্টা স্টোরিতে একটি উদ্ধৃতি পোস্ট করেন। সেখানে লেখা রয়েছে ‘যদি মানুষ গিরগিটির মতো রঙ বদলায়, তাহলে তুমি ধূর্ত শিয়ালের মতো হেঁটে এগিয়ে যাও’।
বৃহস্পতিবার জিমে ঘাম ঝড়ানোর একটি ছবি পোস্ট করেন নিখিল। সেই ছবির সঙ্গে রয়েছে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা। লেখেন, 'আজকাল সেই সব জিনিস আমি আনায়াসে পেরিয়ে যাই, একসময় যাতে আমি হোঁচট খেতাম'। জীবনটা নতুন করে সাজাচ্ছেন সেই বার্তা স্পষ্ট পোস্টের হ্যাশট্যাগেও। লেখালে লেখা রয়েছে- নিউ বিগিনিং।
যশের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি নুসরত জাহান। বুধবার দিনভর ‘দিদির দূত’ নুসরত ব্যস্ত ছিলেন দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে। পদ্মের যশ-প্রাপ্তির জেরে যশ-নুসরতের বন্ধুত্বে ফাটল ধরবে না তো? যশ নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। অভিনেতার কথায়, ‘আমি আজ বিজেপিতে যোগদান করছি সেকথা নুসরতকে জানাইনি। তাছাড়া আমাদের বন্ধুত্ব অভিনয়কে ঘিরে। রাজনীতিতে আসা মানুষের কাজ করার জন্য। আমার আরেক বন্ধু মিমিও তৃণমূলের সাংসদ। যে যার ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী রাজনীতি করে। এক বাড়িতে স্বামী – স্ত্রীও আলাদা রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারেন। বন্ধুত্বের মধ্যে রাজনীতি না ঢোকানোই ভাল।’