সৌমিত্র, সব্যসাচী, আবিরকেই ফেলুদা হিসেবে দেখে অভ্যস্ত বাঙালি। এর মধ্যে অবশ্য টোটা রায়চৌধুরী, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তও ফেলুদা হয়েছেন। তবে তা যে খুব ভালো লেগেছে দর্শকদের সেরকম নয়। আর এবার তো আরও বড় চমক। একসময় তোপসে হয়েছিলেন যেই পরমব্র, সেই এবারে হচ্ছেন ফেলুদা। জি ফাইভের তরফে আগামী ফেলুদার চেহারা সিরিজ বা পোস্টারের মাধ্যমে সামনে আনার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ট্রোলিং। বলে রাখি এই সিরিজে ‘ফেলুদা’ পরমব্রতর তোপসে হিসেবে থাকবেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় আর জটায়ু রুদ্রনীল ঘোষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন, ‘একসময়ের তোপসে এবারে ফেলুদা হয়েছে। দিন দিন টলিউড কেমন বোকা বোকা হয়ে যাচ্ছে। ফেলুদা আর ব্যোমকেশ নিয়ে এরা যা শুরু করেছে, তা জঘন্য।’ তো কেউ লিখছেন, ‘কোন দিক থেকে পরমব্রতকে ফেলুদা মনে হচ্ছে কে জানে। উনি খুব ভালো অভিনেতা। ভালোও লাগে আমার ওঁর অভিনয় দেখতে। কিন্তু এবারে নেওয়া যাচ্ছে না!’ একইভাবে দর্শকদের একেবারেই ভালো লাগেনি জটায়ুর চরিত্রে রুদ্রনীলকে। ঋতব্রতকেও তোপসে হিসেবে বেমানান বলেছেন কেউ কেউ।
চারদিকে এত কটাক্ষের মাঝে আসন্ন ফেলুদা সিরিজ নিয়ে ঠিক কতটা চিন্তিত পরমব্রত? আনন্দ প্লাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বললেন, ‘ফেলুদা নিয়ে মানুষের মধ্যে সবসময়ই একটা আবেগ কাজ করে। এরকম ট্রোল হবে আমি কাজ শুরু হওয়ার আগেই জানতাম। ট্রোলারদের নিয়ে নেগেটিভ কিছু বলতে চাই না। ট্রেলার তো অনেকের ভালোও লেগেছে। সিরিজ মুক্তি পাওয়া অবধি অপেক্ষা করতেই হবে। হয়তো সিরিজটা দেখার পর এঁদের ধারণা বদলেও যেতে পারে।’
অরিন্দম শীলের পরিচালনায় জি ফাইভের ‘সাবাশ ফেলুদা’য় ফেলুদাকে আসলে দেখানো হয়েছে বর্তমানের দৃষ্টিভঙ্গিতে। স্বভাবতই তা বেশ ঝকঝকে। যেখানে নতুন নতুন মডেলের গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে, দেখানো হয়েছে গিয়ার লাগানো সাইকেলে অপরাধী তাড়া করার দৃশ্য। ফেলুদার পোশাকও নতুন যুগের। সেই প্রসঙ্গে পরমব্রত বললেন, ‘ফেলুদা করার দুটো উপায় আছে। একদম একটা পিরিয়ড পিস। আরেকটা হল আধুনিক সময়ে গল্পটাকে নিয়ে আসা। দ্বিতীয়টা করতে হলে গল্পের খোলনালচে বদলে ফেলতেই হবে। জি ফাইভ শুরু থেকেই বলেছিল ‘সাবাশ ফেলুদা’ আধুনিক ভাবে করার জন্য। না হলে কম বয়সী দর্শকদের আকৃষ্ট করা যাবে না।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)