সত্যি কি নন্দিনী দি-র ভাতের হোটেল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? অনেকের মুখেই এখন এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ডালহৌসির ফুটপাথে রাস্তার ধারে ভাতের হোটেল চালানো মমতা গাঙ্গুলী ওরফে নন্দিনী গাঙ্গুলীর কথা হচ্ছে এখানে। যিনি কদিন আগেই এক ইউটিউবারকে বেশ দুঃখী-দুঃখী মুখ করে বলেছিলেন, ‘ক'দিন পরে হয়তো তোরা আর আমাকে এখানে দেখতে পাবি না!’
তবে নন্দিনীর কথা শুনে একাংশ যেমন চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন, তেমনই আরেকাংশের দাবি ওঠে ‘এটাও পাবলিসিটি স্টান্ট’। লোকচক্ষুতে আসার জন্য নাটক করছেন তিনি। কারণ ডালাহৌসির এই ভাতের হোটেলে ‘হাই ভোল্টেজ ড্রামা’ চলতেই থাকে। যা জায়গা করে নেয় ভাইরাল ভিডিয়ো আকারে সামাজিক মাধ্যমে।
নন্দিনীর ভাতের হোটেল বন্ধ হওয়ার খবর শুনে মিডিয়াও পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে। তবে এবার ভাইরাল দিদির গলায় একেবারে অন্য সুর। এবার বরং তিনি জানালেন খুব শিগগিরি তাঁর পাইস হোটেলের ‘শাখা’ আসতে চলেছে।
হোটেল বন্ধ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে নন্দিনী উত্তর দেন, ‘যা রটেছে সেরকমটা একদমই ঘটছে না। এমনিতেও এই লড়াইটা আজকের না। এটা শেষ ৩-৪ বছরের লড়াই। হুট করে বলল চলে যাও, আর চলে যাওয়া তো যায় না। তবে প্রথম থেকে সবাইকেই বলেছি এটা আমার স্থায়ী ঠিকানা নয়। এখানে আমি ভাড়া নিয়ে কাজ করেছি। হ্যাঁ আগে হলে আমি হয়তো চাকরি জীবনে ফেরত যেতাম। এখন আর চাকরি জীবনে ফেরত যাব না। আরেকটা কিছু শুরু করব। অবশ্য আরেকটা নয়, আরও বহু। তবে রেস্তোরাঁ নয়, পাইস হোটেলই খুলব।’
নন্দিনী জানালেন একটা উত্তর কলকাতায় পাইস হোটেল খোলার ইচ্ছে তাঁর রয়েছে। আরেকটা খুলবেন নিউ টাউন চত্ত্বরে। যেহেতু নিউ টাউনেই থাকেন তিনি।
যদিও নন্দিনী নিজেই কয়েকদিন আগে এক ইউটিউবারকে জানিয়েছিলেন, ‘যখনই দেখি না কেউ বাড়ছে, আমরা তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করি। তবে কথাতেই তো আছে রাখে হরি মারে কে। কপালে যা আছে তা তো হবেই। বলব, বলব… তোদের সবাইকে জানাব। আছে এরকম কিছু জিনিস। তোদের সব ইউটিউবারকেই ফোন করব। বসব। তোদের জন্যই তো আমি আজ এখানে। নন্দিনী থেকে নন্দিনী দিদি হয়েছি। পাঁচজন থেকে পঞ্চাশজন, একশোজন-দেড়শো জন (গ্রাহক), যাই পেয়েছি তোদের জন্যই পেয়েছি। তোদের জন্যই আজকে আমি।’