ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় অভিনেতা তথা লেখক এবং গায়ক পীযুষ মিশ্রর জুনিয়র ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান (Irrfan Khan)। এই ইনস্টিটিউশনে পড়ার সময় তাঁদের মধ্যে যতই প্রতিযোগিতা থাক, সমস্যা থাক বর্তমানে, বিশেষ করে ইরফান খানের মৃত্যু পর থেকে তাঁকে নিয়ে নানা কথা মনে করেন পীযুষ। প্রসঙ্গত গত ২০২০ সালে মারা গিয়েছেন ইরফান খান। তবুও তাঁকে ভালোবাসা, স্নেহের সঙ্গে আজও মনের মণিকোঠায় অমলিন করে রেখেছেন পীযুষ মিশ্র।
বিবিসি হিন্দিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি আবারও তাঁর এই জুনিয়রের বিষয়ে কথা বললেন। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে পীযূষের আত্মজীবনী তুমহারি অওকাত কেয়া হ্যায়? এই বইয়ের প্রচারের সময়ই তিনি মনে করলেন ইরফান খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা। তাঁরা একসঙ্গে ২০০৩ সালে মকবুল (Maqbool) ছবিতে কাজ করেছিলেন। তিনি এই সাক্ষাৎকারে বলেন বিশাল ভরদ্বাজের এই ছবিতে কাজ করার আগে তাঁদের মধ্যে সিনিয়র জুনিয়রের সম্পর্ক ছিল।
তিনি আরও বলেন, 'ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। ও এক রকমের অভিনয় করত, আমি এক রকমের অভিনয় করতাম। আমি আমার আদর্শের উপর ভিত্তি করে করে কাজ করতাম, ও ওর ভাবনার উপর। আমরা একে অন্যের হামেশাই সমালোচনা করতাম।' তবে মকবুল ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বলেই জানান তিনি। এই ছবিতে প্রয়াত অভিনেতাকে নাম ভূমিকায় এবং পীযুষকে কাকার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল।
এই ছবিতে অভিনয় করার সময় তাঁদের মধ্যে একটা ভালো বন্ডিং গড়ে ওঠে। তিনি এই ছবির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'এই ছবিতে ও আমায় অনেক সাহায্য করেছিল। ও যেহেতু ছোটপর্দায় কাজ করেছিল তাই ওর অনেক বেশি অভিজ্ঞতা ছিল। আমি কখনও টিভিতে কাজ করিনি। এই ছবিতে সবাই সবাইকে সাহায্য করেছিল। এই ছবিটা অনেকটা যেন বিশ্বকাপের মতো ছিল, সবাই জিততে চেয়েছিল, সবাই জিতেও ছিল।'
২০০৩ সালের টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছিল এই ছবি। এরপর ২০০৪ সালে ভারতে মুক্তি পায় এটি। এই ছবির জন্য পঙ্কজ কাপুর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সেরা সহ অভিনেতার জন্য।