১৯৫২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন প্রয়াত অভিনেতা প্রেম নাথ এবং বিনা রাই। বিয়েতে তাঁর শ্যালক রাজ কাপুর, দিলীপ কুমার এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গত বছর, রাজ, তাঁর ছেলে রণধীর কাপুর এবং দিলীপের একটি ছবি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল।
ছবিতে, প্রেমকে একটি ঘোড়ায় বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছোট রণধীরও তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, তাঁর 'সেহবালা' হিসেবে। অভিনেতা রাজ কাপুর এবং দিলীপ কুমারকেও ‘বরাতি’ হিসেবে দেখা মিলেছে ছবিতে। আরও পড়ুন: পরিবারই সব, ‘কান’-এ গোলাপী ঝলমলে গাউনে ঐশ্বর্য সঙ্গে অভিষেক-আরাধ্যা, দেখুন ছবি
২০১৭ সালে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেম নাথ পুত্র মন্টি প্রেম নাথ বাবা-মায়ের ভালোবাসা সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘মা (প্রয়াত বিনা রাই) বাবার অনুরাগী ছিলেন। তারা প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ‘অউরাত’ (১৯৫৩) ছবিতে। সুপারস্টারের সামনে নার্ভাস ছিলেন মা। শট দেওয়ার সময় তার হাত কাঁপছিল। তাই বাবা তার হাতের চারপাশে ফুল রাখলেন বিষয়টা চাপা দেওয়ার জন্য। তাঁর সরল আচরণে বাবা খুব আকৃষ্ট হয়েছিলেন। ধীরে ধীরে একে অপরের প্রেমে পড়েন এবং বিয়ে করেন। তখন খুব ছোট ছিলেন রণধীর কাপুর। সারওয়ালা (সেরা মানুষ) হিসাবে বাবার সঙ্গে ঘোড়ায় বসেছিলেন।'

তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের পর আমার বাবা-মা তাঁদের নিজস্ব প্রোডাকশন হাউস (P.N. Films) শুরু করেন। তাঁদের প্রথম ছবি ছিল 'শাগুফা' (১৯৫৩)। কিন্তু সেভাবে চলেনি। পরবর্তীতে প্রিজনার অফ গোলকুণ্ড, সামুন্দর, হামারা ওয়াতান এবং চেঙ্গিজ খান-এর পরিণতি আরও খারাপ হয়েছিল। বিয়ের পর তাদের একসঙ্গে সেভাবে কাজ হয়নি। কিন্তু মায়ের ছবি যেমন আনারকলি (১৯৫৩), তাজমহল (১৯৬৩) এবং অন্যান্য নায়কদের সঙ্গে ঘুনঘাট (১৯৬০) হিট হয়েছিল। ঘুনঘাট ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে বাবার কেরিয়ার ততটাও ভালো দিকে যাচ্ছিল না।'
‘অউরাত’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন একে অপরের প্রেমে পড়েন বিনা এবং প্রেম। ১৯৫২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। দম্পতির দুই সন্তান মন্টি এবং প্রেম কিষাণ। ৬৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রেম চোপড়া।