প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে চুক্তি করার পর অনেকের কাছে নানান কথা শুনতে হয়েছিল নায়িকার ম্যানেজার অঞ্জুলা আচার্যকে। আন্তর্জাতিক স্তরে প্রিয়াঙ্কাকে ব্র্যান্ড হিসাবে তুলে ধরা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর কাছে। এমনকি বলিউডের অনেকের কাছেই সেই সময় প্রিয়াঙ্কার নামে নানা দুর্নাম, নেতিবাচক কথা শুনছিলেন তিনি। এককথায় বলিউডের গ্লোবাল আইকন প্রিয়াঙ্কা শুরু থেকেই অনেকের ‘চোখের বালি’ ছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জুলা স্মরণ করেন, তিনি একটি ডিনার পার্টিতে গিয়েছিলেন এবং প্রিয়াঙ্কাকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ‘সময় নষ্ট’ করা এমন কথা শুনতে হয়েছিল তাঁকে। তবে নিজের এবং প্রিয়াঙ্কার ওপর আত্মবিশ্বাস রেখে এগিয়েছিলেন অঞ্জুলা।
এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জুলা জানান, ‘আমার মনে আছে আমি যখন প্রথম প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে চুক্তি করেছিলাম, অনেকে বিশেষ করে অনেক ভারতীয় নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। নিউ ইয়র্কে আমার বন্ধু মণীশ গোয়েলের বাড়িতে আমি ডিনারে গিয়েছিলাম, সেখানে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রিয়াঙ্কার বিষয় নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ও কখনোই কাজ করতে পারবে না। আমি কেন আমার সময় নষ্ট করছি। ইত্যাদি..’।
তিনি আরও বলেন, সেই সময় এগুলো শুনে তাঁর সত্যিই খুব খারাপ লেগেছিল। ‘একবারের জন্য আমার মনে হয়েছিল সত্যিই কি আমি আমার সময় নষ্ট করছি? তবে আমার আত্মবিশ্বাসের টলে যায়নি। আমি একটা অলীক স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম।বলিউড থেকে ওকে হলিউডে আনা কি ঠিক হচ্ছিল? তবে আমি প্রিয়াঙ্কার চোখদুটো যখন দেখলাম, আমার বিশ্বাস হল। প্রিয়াঙ্কাকে না বলা যায় না, তাঁকে আটকে রাখা যায় না’।
গায়িকা হিসেকে নিজেকে প্রথম আন্তর্জাতিক স্তরে উপস্থাপন করেন প্রিয়াঙ্কা। ২০১২ সালে প্রথমবার মুক্তি পায় তাঁর প্রথম সিঙ্গেল, ইন মাই সিটি (In My City)। আরো দুটো গান এক্সটিক (Exotic ) এবং আই কান্ট মেক ইউ লাভ মি ( I Can’t Make You Love Me) মুক্তি পায় পরে। ২০১৫ সালে আমেরিকার টিভি শো ‘কোয়ান্টিকো’তে অভিনয়ের জেরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা মান এই বাদামী সুন্দরী। বর্তমানে অভিনেত্রীর হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের কাজ- দ্য ম্যাট্রিক্স ফোর, টেক্সট ফর ইউ এবং অ্যামাজন স্পাই সিরিজ সিটাডেল।
চলতি মাসের শুরুতে মুক্তি পেয়ছে প্রিয়াঙ্কার আত্মজীবনী ‘আনফিনিসড’। যেখানে জীবন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা, দুঃখ, সমাজ এবং পক্ষপাতিত্বে ভরা বলিউড থেকে হলিউডের জার্নির কথা তুলে ধরেছেন পিগি চপস।